যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে কিছু শর্ত দিয়েছে, যার বিনিময়ে দেশটির উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করার প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। সম্প্রতি ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন কর্মকর্তা নাতাশা ফ্রান্সেস্কি।
সেখানেই এই প্রস্তাবগুলো পেশ করা হয়।
বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার কাছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শর্তগুলো হলো: সিরিয়ায় এখনো মজুদ থাকা রাসায়নিক অস্ত্রের ভাণ্ডার ধ্বংস করা, সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা করা, এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে বিদেশি যোদ্ধাদের নিয়োগ না দেওয়া।
এছাড়া, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ মার্কিন সাংবাদিক অস্টিন টাইসের সন্ধান দিতেও সিরিয়াকে সহায়তা করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই শর্তগুলো পূরণ করা হলে সিরিয়ার ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। তবে ঠিক কী ধরনের ছাড় দেওয়া হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমাও উল্লেখ করা হয়নি।
সিরিয়ার অর্থনীতি দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধের কারণে বিপর্যস্ত। দেশটির নেতারা বারবার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন, যা তাদের অর্থনীতির পুনর্গঠনে সহায়ক হতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে সিরিয়ার প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মার্কিন প্রশাসনের অভ্যন্তরে সিরিয়া নীতি নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। কোনো কোনো কর্মকর্তা সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্ক সীমিত রাখতে আগ্রহী, কারণ তাদের অতীতের সঙ্গে আল-কায়েদার যোগসূত্র ছিল।
আবার, পররাষ্ট্র দপ্তর সিরিয়ার সঙ্গে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উভয়ই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা