মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিকৃতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে। ডেনভারের স্টেট ক্যাপিটলে (রাজ্যের আইনসভা ভবন) টাঙানো তার একটি তৈলচিত্র ‘বিকৃত’ আখ্যা দিয়ে সেটি সরিয়ে ফেলার জন্য সরব হয়েছিলেন তিনি।
অবশেষে, ট্রাম্পের আপত্তির মুখে ২০১৯ সাল থেকে প্রদর্শিত হয়ে আসা ছবিটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
খবর অনুযায়ী, রিপাবলিকান দলের অর্থায়নে ছবিটি তৈরি করা হয়েছিল এবং রাজ্যের অন্যান্য সাবেক প্রেসিডেন্টের প্রতিকৃতির সঙ্গেই এটি স্থাপন করা হয়েছিল।
ট্রাম্পের অভিযোগের পর, কলোরাডো সিনেটের সংখ্যালঘু নেতা পল লান্ডিন, যিনি রিপাবলিকান দলের সদস্য, দ্রুত ছবিটিকে সরানোর আবেদন জানান।
তার মতে, ট্রাম্পের ‘বর্তমান প্রতিচ্ছবি’ ফুটিয়ে তোলে এমন একটি ছবি সেখানে স্থাপন করা উচিত।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প তার নিজের সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশালে’ ছবিটির সমালোচনা করেন।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ছবিটি ইচ্ছাকৃতভাবে ‘বিকৃত’ করা হয়েছে। এমনকি, তিনি কলোরাডোতে টাঙানো ছবির বদলে একই শিল্পীর আঁকা সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতিকৃতির প্রশংসা করেন।
কলোরাডোর আইনপ্রণেতারা জানিয়েছেন, ছবি অপসারণের বিষয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই।
তারা বিষয়টিকে রিপাবলিকানদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তবে, নতুন প্রতিকৃতি তৈরি এবং এর জন্য অর্থ সংগ্রহের বিষয়ে রিপাবলিকানরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
জানা যায়, ছবিটির বিষয়ে বিতর্ক এর আগেও সৃষ্টি হয়েছিল।
এমনকি, ছবি উন্মোচনের আগে সেখানে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি ছবি টাঙানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
শিল্পী সারাহ বোর্ডম্যানের চিত্রায়নে ট্রাম্পকে ‘নিরপেক্ষ’ ও ‘চিন্তাশীল’ হিসেবে দেখানো হয়েছিল, যা অনেকের কাছে যথাযথ মনে হয়নি।
বর্তমানে, ট্রাম্পের প্রতিকৃতিটি যে স্থানে ছিল, সেখানে শুধু একটি ফলক দৃশ্যমান রয়েছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস