আগামী বছর ৩১শে মার্চ, ব্রাসেলস বিমানবন্দরে সব বহির্গামী বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ধর্মঘটের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের উপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্রাসেলস বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, বহির্গামী ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে আগমনকারী ফ্লাইটের ওপরেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
তাই, যাত্রীদেরকে তাদের বিমানসংস্থা অথবা বিমানবন্দরের ওয়েবসাইটে ফ্লাইটের অবস্থা জেনে নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই ধর্মঘটের কারণে শুধু ইউরোপ নয়, বিশ্বজুড়ে বিমান চলাচলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
কারণ, এয়ার কানাডা, অস্ট্রিয়ান, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ডেল্টা এয়ারলাইন্স, ইজিজেট, এমিরেটস, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, আইসল্যান্ডএয়ার, লুফথানসা, কাতার এয়ারওয়েজ, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স এবং ভিউলিংয়ের মতো বহু আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা ব্রাসেলস বিমানবন্দর ব্যবহার করে।
তবে, ব্রাসেলস এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, তারা এখনো পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট বাতিল করেনি।
তবে, সম্ভাব্য ভ্রমণ জটিলতা এড়াতে তারা বিনামূল্যে ফ্লাইট পরিবর্তনের সুযোগ এবং রিফান্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করছে।
বিভিন্ন মার্কিন বিমান সংস্থা ইতোমধ্যে তাদের ভ্রমণকারীদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে।
ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, যারা আগামী বছরের ৩০ ও ৩১শে মার্চ ব্রাসেলসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন, তারা কোনো পরিবর্তন ফি ছাড়াই তাদের ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন।
এমনকি, টিকিটের মূল্যের কোনো তারতম্য ছাড়াই তারা হয় আমস্টারডাম (এএমএস) অথবা প্যারিসের (সিডিজি) ফ্লাইটে যেতে পারবেন।
ভ্রমণকারীদের জন্য বিকল্প বিমানবন্দরের মধ্যে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট ও কোলোন অথবা সুইজারল্যান্ডের জুরিখের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে।
এছাড়া, আমস্টারডাম থেকে ব্রাসেলস পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন পরিষেবাও চালু রয়েছে, যা প্রায় ২ ঘণ্টা ৭ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে ব্রাসেলস বিমানবন্দর দিয়ে ১৫ লক্ষাধিক যাত্রী ভ্রমণ করেছেন, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের চেয়ে ৮.২ শতাংশ বেশি।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার।