শিরোনাম: যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলোর জন্য এলপিজি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি: বাড়ছে দুশ্চিন্তা।
যুক্তরাজ্যে, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে, অনেক পরিবার রান্নার গ্যাস এবং গরম জলের জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবহার করে। কিন্তু বর্তমানে এই গ্যাসের দাম বাড়ছে, যা তাদের জীবনযাত্রায় নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে।
এই সমস্যা সমাধানে সরকার বা কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ এখনো পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।
বিদ্যুৎ এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের দামের ওপর নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘অফগেম’ নামে একটি সংস্থা কাজ করে। কিন্তু এলপিজি গ্যাসের ক্ষেত্রে তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
ফলে সরবরাহকারীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াতে পারে। এই কারণে, এলপিজি ব্যবহারকারীরা বেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে।
ওয়েলসের পাওয়েস অঞ্চলের একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, তিনি এলপিজি গ্যাসের উচ্চ মূল্য নিয়ে চিন্তিত। বর্তমানে প্রতি লিটার গ্যাসের দাম ৯৮ পেন্স।
কয়েক মাস আগেও তিনি প্রতি লিটার গ্যাস ৬৩ পেন্স দিয়ে কিনতেন। চুক্তি শেষ হওয়ার পরে গ্যাসের দাম আরও বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
এই পরিস্থিতিতে, এলপিজি সরবরাহকারীদের ওপর নজর রাখার জন্য ‘প্রতিযোগিতা ও বাজার কর্তৃপক্ষ’ (Competition and Markets Authority) কাজ করে। তারা নিশ্চিত করতে চাইছে, গ্রাহকরা যেন সহজে অন্য সরবরাহকারীর কাছ থেকে গ্যাস নিতে পারে এবং কোনো অতিরিক্ত ফি দিতে না হয়।
এছাড়া, ‘লিকুইড গ্যাস ইউকে’ নামের একটি সংস্থা আছে, যেখানে গ্রাহকরা তাদের এলাকার সবচেয়ে সস্তা সরবরাহকারীর সন্ধান করতে পারে।
ওয়েলশ সরকার এই ধরনের জ্বালানি ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু সাহায্য করার চেষ্টা করছে। ‘নেস্ট’ নামক একটি প্রকল্পের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন অনুদান এবং ঋণের ব্যবস্থা করছে।
আর্থিক সংকটে থাকা পরিবারগুলোর জন্য অফ-গ্রিড জ্বালানি বাবদ প্রায় ৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত আর্থিক সহায়তারও ব্যবস্থা রয়েছে।
গ্যাসের এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক পরিবারে জীবনযাত্রার খরচ বাড়ছে। ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান