যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র, যিনি ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন, তাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার সরকারি সিদ্ধান্তের উপর তাৎক্ষণিক স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন একজন বিচারক। মোমোদু তাল নামের এই ছাত্রের ভিসা বাতিল করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন ভেঙেছেন ও ইহুদি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করেছেন।
জানা গেছে, মোমোদু তাল, যিনি যুক্তরাজ্য ও গাম্বিয়ার নাগরিক, বর্তমানে পিএইচডি করছেন এবং গত বছর একটি বিক্ষোভের জেরে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তিনি কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন, কিন্তু আদালত তাৎক্ষণিকভাবে তার বিতাড়ন প্রক্রিয়া বন্ধ করতে রাজি হননি।
আদালতে পেশ করা নথিতে দেখা যায়, তাল এবং আরও দুইজন ব্যক্তি একটি মামলা দায়ের করেছিলেন, যেখানে তারা সরকারের দুটি নির্বাহী আদেশের বিরোধিতা করেন। তাদের মতে, এই আদেশগুলো তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করে। তবে, বিচারক এলিজাবেথ কুম্বি বলেছেন, তাল তার আবেদনের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, তাল এর বিতাড়ন প্রক্রিয়া বন্ধ করার এখতিয়ার তার নেই, কারণ এই সংক্রান্ত বিষয়গুলো মূলত অভিবাসন আদালতে মীমাংসা করা হয়।
তাল-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নীতি লঙ্ঘন করেছেন এবং বিক্ষোভের মাধ্যমে অন্যদের পড়াশোনার পরিবেশকে ব্যাহত করেছেন। কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, তার কার্যক্রম ইহুদি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি তৈরি করেছে।
তবে, তাল-এর আইনজীবীর সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আমলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়েছিল, যারা ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, সরকার ফিলিস্তিনের অধিকারের পক্ষে কথা বলা শিক্ষার্থীদের টার্গেট করছে। বর্তমানে, তালকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন