1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
April 1, 2025 11:26 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
আতঙ্কের উড়ান! রিগান বিমানবন্দরে ‘ভুল’ স্বীকার, বাড়ছে যাত্রী নিরাপত্তা ঝুঁকি! আজ রাতে রিয়াল মাদ্রিদের খেলা! প্রতিপক্ষ সোসিয়েদাদ, কাপ জয়ের স্বপ্ন? আতঙ্কে বিশেষজ্ঞ! ‘টাশ পুশ’ নিয়ে এনএফএল-এর বড় সিদ্ধান্ত স্থগিত! ফালনের শো’তে প্যান্ট খুইয়ে শিরোনামে ব্ল্যাক! ব্যায়াম শুরু করেছেন? ফল পেতে কতদিন অপেক্ষা? চীনেও কি ছিল নিয়ান্ডারথালদের বসতি? চাঞ্চল্যকর প্রমাণ! গুরুতর অসুস্থতা থেকে সেরে উঠে নতুন কীর্তি, জানালেন পোপ! কারাগারে যেতেও রাজি! জলবায়ু রক্ষার লড়াইয়ে যাজকের সাহসী পদক্ষেপ ২ এপ্রিল ট্রাম্পের ‘মুক্তি দিবস’: কী ঘটতে যাচ্ছে? ভয়ঙ্কর ঝড়: ক্রিটে ব্যাপক বন্যা, আতঙ্কে গ্রিক দ্বীপ!

তুরস্কে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাপ: সপ্তাহে সপ্তাহে সমাবেশের ডাক!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Sunday, March 30, 2025,

তুরস্কে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে, বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে নিয়মিত সমাবেশের ডাক এবং অর্থনৈতিক বয়কটের ঘোষণার মধ্যে দিয়ে পরিস্থিতি নতুন মোড় নিয়েছে। ইস্তাম্বুলের মেয়র একরাম ইমামোগ্লুর গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজার হাজার মানুষ।

বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের শাসনের অবসান এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।

প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)-র নেতা ওজгур ওজেল সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে তুরস্কের প্রভাবশালী শিল্পগোষ্ঠী ‘দোগুস গ্রুপ’-এর সমালোচনা করেছেন, যাদের সরকারপন্থী মিডিয়া চ্যানেলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।

ইস্তাম্বুলে এক বিশাল সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ওজেল এই গ্রুপের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বর্জনের আহ্বান জানান। দোগুস গ্রুপের অধীনে নির্মাণ সংস্থা, মিডিয়া, জ্বালানি এবং অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ রয়েছে।

এছাড়া, তাদের অধীনে ২০০টির বেশি রেস্টুরেন্ট ও বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে, যার মধ্যে ‘সো্হো হাউস ইস্তাম্বুল’-এর মতো জনপ্রিয় স্থানও অন্তর্ভুক্ত।

বিক্ষোভের কারণে সরকারের পক্ষ থেকে ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি দীর্ঘ করার ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন, সরকার সম্ভবত এই ছুটির মাধ্যমে বিক্ষোভ প্রশমিত করতে চাইছে।

কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এতে তাদের আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, এরদোয়ানের শাসনের কারণে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হয়েছে এবং রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।

তারা অবিলম্বে এসব বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন।

বিক্ষোভ দমনে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। একরাম ইমামোগ্লুর গ্রেফতারের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৯০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতদের মধ্যে অনেককে তুরস্কের বাইরের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গেছে।

সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠনগুলোও সোচ্চার হয়েছে। তারা নিয়মিতভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন।

ছাত্ররা বলছেন, এরদোয়ানের শাসনকালে তারা পরিবর্তন দেখেননি, বরং দেখেছেন জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি।

সিএইচপি সমর্থকরা সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল বিভিন্ন পণ্যের বিরুদ্ধে বয়কট ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তুরস্কের জনপ্রিয় চকোলেট ব্র্যান্ড, কফি শপ এবং বিভিন্ন শপিং মল।

এই বয়কটের কারণে অনেক সাধারণ মানুষও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

সরকার বিক্ষোভকারীদের অর্থনীতি দুর্বল করার চেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং বয়কটের ডাককে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করেছে।

তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা এই লড়াইয়ে পিছপা হবেন না।

তুরস্কের পরিস্থিতি এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে। একদিকে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে, অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো তাদের আন্দোলনকে আরও জোরালো করার চেষ্টা করছে।

দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখন বলা কঠিন।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT