মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, আগামী ২ এপ্রিলের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
একে তিনি ‘মুক্তি দিবস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এর পাশাপাশি, রাশিয়া ও ইরানের বিরুদ্ধেও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে তাঁর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
এর ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই শুল্কনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলবে।
বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়তে পারে, যা সরাসরি ভোক্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
এছাড়া, বিশ্ববাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে, বাংলাদেশের রপ্তানি খাতেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করতে পারেন, যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে কোনো চুক্তি না হয় এবং এর জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়।
তিনি ইরানের সঙ্গেও কোনো চুক্তি না হলে দেশটির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কথা জানান।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প এর আগে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
তবে, ট্রাম্পের উপদেষ্টারা বলছেন, এই শুল্কনীতি আমেরিকার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে এবং কর্মসংস্থান বাড়াতে সহায়ক হবে।
তাঁরা ভোক্তাদের ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাবকে কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি তাঁর বাণিজ্য কৌশল এবং রাজনৈতিক অবস্থানের একটি অংশ।
এর মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বাড়াতে চান।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে, আমাদের অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
তাঁরা এই শুল্কনীতির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবেন।
তথ্যসূত্র: সিএনএন।