বৈশ্বিক পর্যায়ে টেসলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, এলোন মাস্কের বিতর্কিত ভূমিকার প্রতিবাদ।
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মূলত, টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের কিছু বিতর্কিত পদক্ষেপের প্রতিবাদে এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রতিবাদকারীরা মাস্কের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, শ্রমিক ছাঁটাই এবং বিভিন্ন নীতিমালার কড়া সমালোচনা করছেন। জানা গেছে, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ২০০টির বেশি টেসলা শোরুমের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের ঘনিষ্ঠতাকে ভালোভাবে দেখছেন না। তাদের অভিযোগ, মাস্ক সরকারের সঙ্গে মিলে জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধাগুলো ধ্বংস করছেন।
বিক্ষোভকারীদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, টেসলার গাড়ি কেনা থেকে বিরত থাকা এবং টেসলার শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া।
এই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভিকি মুয়েলার ওল্ভেরা বলেন, “ইলন মাস্ক কোনো নির্বাচিত ব্যক্তি নন, তিনি একজন অতি-ধনী এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা মনে করি, মাস্ক আমাদের সরকার ব্যবস্থাকে হাইজ্যাক করছেন এবং সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছেন যা আমরা লালন করি।
প্রতিবাদকারীরা তাদের আন্দোলনে সহিংসতা থেকে দূরে থাকার কথা বলছেন। তবে, কিছু ক্ষেত্রে টেসলা শোরুমে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যেগুলোর নিন্দা জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি, লাস ভেগাসে একটি টেসলা শোরুমে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, ইলন মাস্ক অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি তাঁর সরকারি কাজের মাধ্যমে সরকারের কার্যকারিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেন।
প্রতিবাদ আন্দোলনের কারণে টেসলার আর্থিক অবস্থার ওপরও প্রভাব পড়েছে বলে জানা গেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে টেসলার শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এমনকি, মাস্কের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণও হ্রাস পেয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, টেসলার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ আন্দোলন খুব অল্প সময়ের মধ্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই আন্দোলনের কারণে ইলন মাস্কের ক্ষমতা এবং প্রভাবের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হলো মাস্কের বিতর্কিত কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করা এবং টেসলার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত করা। তাঁরা তাঁদের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।