কাউখালি প্রতিনিধি।
পিরোজপুরের কাউখালীতে ৩০ জুন(রবিবার) কাউখালী উপজেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে, মানব পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্য পড়ে শুনান প্রবাসী ফেরত ভুক্তভোগী জয়দেব চন্দ্র ঘোষ।
লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য চাকরির সুবাদে মোটা অংকের টাকা রোজগারের সুযোগের কথা জানিয়ে মোট ৮,০০০০০/-(আট লক্ষ) টাকার বিনিময়ে সূদুর সৌদি আরবে পাঠানোর কথা বলেন প্রতারক চক্রটি।
বিষয়টি আমি প্রথমে বুঝতে না পাড়ায়,আমার সহায় সম্বল বিক্রি করে তাদের কথা অনুযায়ী বিদেশে পাড়ি জমাই। কিন্তু ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরে দেখতে পাই এক লোমহর্ষক ও হৃদয় বিদারক ঘটনা।
আমি সেখানে যাওয়ার পর আমাকে কোন কর্মস্থলে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে আমাকে জিম্মি করে এবং অমানুষিক নির্যাতন করার এক পর্যায়ে তারা আমার বাড়ী থেকে আরও টাকা নিয়ে আসার কথা বলেন। আমি অপারগতা প্রকাশ করলে আমাকে জীবন নাশেরও হুমকি দেয়া হয়।সারাদিনে একবার শুধুমাত্র খেতে দেয়া হত। ঘুমানোর কোন জায়গা ছিল না। ছোট ছোট তিনটি রুমে প্রায় ১০০ জনকে দাঁড়িয়ে, বসে দিন কাটাতে হত। পরবর্তীতে কোন মতে হাত পায়ে ধরে বাড়ি থেকে আরও ২,২০,০০০/-(দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা দিয়ে প্লেনের টিকেট কেটে জিম্মিদের অগোচরে দেশে ফিরে আসি।
মানব পাচারকারী চক্রটি পিরোজপুর জেলায় মোঃ নজরুল ইসলাম, পিতা অজ্ঞাত,রওশন আরা বেগম,স্বামী মোঃ নজরুল ইসলাম, তানিয়া বেগম,স্বামী রেজাউল ইসলাম সুমন,রেজাউল ইসলাম সুমন, পিতা মোঃ নজরুল ইসলাম এরা সকলে ইন্দুরকানী থানার ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এছাড়াও কাউখালী উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের মোঃ রুবেল খান,পিতা মৃত ছত্তার খান,মনি বেগম,স্বামী রুবেল খানও জড়িত আছেন।
পাচারকারী চক্রটি আমার মতো আরও অনেক পরিবারকে প্রতারণার মাধ্যমে নিঃশেষ করে দিয়েছেন।
আমি আপনাদের মাধ্যমে, বর্তমানে সৌদিতে জিম্মি বাংঙ্গালীদের দেশে ফিরিয়ে আনা এবং এই মানব পাচারকারী চক্রটিকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনসহ, প্রবাসি কল্যান মন্ত্রনালয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবিনয়ে আবেদন জানাচ্ছি।