একটি দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক, যেখানে ভালোবাসার গভীরতা থাকলেও বয়স একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি, এমন একটি সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন এক নারী, যিনি তাঁর থেকে অনেক বেশি বয়সের এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
তাদের মধ্যে শারীরিক এবং মানসিক সম্পর্ক গভীর হলেও, বয়সের কারণে সেই পুরুষটি মাঝে মাঝেই দূরে চলে যান। এই সমস্যা নিয়ে তিনি একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ চেয়েছেন।
ওই নারীর ভাষ্যমতে, তিনি একসময় তাঁর কর্মক্ষেত্রে পরিচিত হওয়া এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। সেই সময় তাদের বয়সের ব্যবধান থাকলেও, ভালোবাসার কারণে তাঁরা কাছাকাছি এসেছিলেন।
সেই সম্পর্ক গভীরতা লাভ করে, যেখানে শারীরিক সম্পর্কের পাশাপাশি মানসিক যোগাযোগও ছিল অত্যন্ত নিবিড়। পুরুষটি সবসময় তাঁর প্রতি ভালোবাসার কথা বলতেন, একসঙ্গে থাকার এবং ভালোবাসার অঙ্গীকার করতেন।
কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই, সেই সম্পর্ক অন্য মোড় নেয়। পুরুষটি হঠাৎ করেই দূরে চলে যেতে শুরু করেন। তিনি জানান, বয়সের এই পার্থক্য তাঁর কাছে অনেক বড় একটা সমস্যা।
তিনি নিজের অনুভূতি নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন এবং একা থাকতে চান। এমনকি, ওই নারীকে তিনি তাঁর বয়সী কাউকে খুঁজে নেওয়ারও পরামর্শ দেন।
কিন্তু যখনই নারীটি সম্পর্ক থেকে দূরে যেতে চান, তখনই আবার সেই পুরুষটি ফিরে আসেন।
এই আসা-যাওয়ার খেলা গত ছয় মাস ধরে চলছে। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০ দিন/রাতের মতো সময় কেটেছে, যা ভালোবাসার গভীরতা প্রমাণ করে।
কিন্তু আটবার সেই পুরুষটি সম্পর্ক থেকে দূরে চলে গিয়েছেন। নারীটি জানান, তিনি তাঁর ভালোবাসার মানুষটিকে হারাতে চান না।
তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁর প্রেমিক হয়তো তাঁর ভেতরের ভালোবাসাটা অনুভব করতে পারছেন না।
বিশেষজ্ঞের মতে, ভালোবাসার কথাগুলো অনেক সুন্দর, তবে তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আচরণ না থাকলে, সেই কথার কোনো মূল্য থাকে না।
ভালোবাসার নামে এমন কথাগুলো হয়তো মানুষকে আকৃষ্ট করার একটা কৌশল মাত্র। এই ক্ষেত্রে, পুরুষের কথায় নয়, বরং তাঁর কাজের দিকে নজর দেওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞ আরও মনে করেন, ওই নারীর এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। কারণ, এই সম্পর্ক তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
তিনি সম্ভবত অতীতের কোনো কষ্ট থেকে বাঁচতে, এমন সম্পর্ককে আঁকড়ে ধরে আছেন। এমনকি, তিনি পরামর্শ দেন, সম্ভবত নারীর বাবা-মায়ের সঙ্গে তাঁর অতীতের কোনো খারাপ অভিজ্ঞতার কারণে এমনটা হচ্ছে।
তাই, একজন ভালো মনোবিদের সাহায্য নেওয়া তাঁর জন্য জরুরি।
যদি আপনিও এমন কোনো সমস্যায় জর্জরিত হন, তবে সবার আগে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন।
এমন কোনো সম্পর্কে জড়াবেন না, যা আপনাকে কষ্ট দেয়। ভালোবাসার আসল অর্থ হলো, এমন একটি সম্পর্কে থাকা যেখানে পারস্পরিক সম্মান, বিশ্বাস এবং উপলব্ধির মাধ্যমে আপনারা একে অপরের পাশে থাকবেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান