টটেনহ্যাম হটস্পারকে ১-০ গোলে হারিয়েছে চেলসি। তবে এই ম্যাচে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন টটেনহ্যামের ম্যানেজার অ্যাঞ্জ পোস্টেকোগলু।
ম্যাচের ফলাফলের থেকেও বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর একটি অঙ্গভঙ্গি এবং ভিএআর নিয়ে তাঁর ক্ষোভ।
ম্যাচে পাপ সারা নামের এক খেলোয়াড়ের করা গোল বাতিল হয়ে যায় ভিএআরের হস্তক্ষেপে। এর পরেই পোস্টেকোগলুকে দেখা যায় গ্যালারির দিকে কান পেতে থাকতে।
অনেকে মনে করেছিলেন, সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি কিছু বলছেন। পরে অবশ্য পোস্টেকোগলু জানান, তাঁর এই অঙ্গভঙ্গির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
তিনি আসলে সমর্থকদের উল্লাস শুনতে চেয়েছিলেন, কারণ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া দলের জন্য গোলটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ম্যাচ শেষে এক সাক্ষাৎকারে পোস্টেকোগলু বলেন, “আসলে বিষয়টি যেভাবে দেখা হচ্ছে, তেমনটা নয়।
আমরা সবে একটি গোল দিয়েছিলাম এবং আমি চেয়েছিলাম তারা আনন্দ করুক। কারণ আমরা কঠিন সময় পার করছিলাম এবং আমার মনে হয়েছিল, গোলটা দারুণ হয়েছে।
আমি চেয়েছিলাম তারা সবাই খুব খুশি হোক। আমার মনে হয়েছিল, এই সময়ে আমরা হয়তো ম্যাচটা জিততেও পারি।”
তবে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশ সমর্থকেরা এর আগে পরিবর্তনে খুশি হননি এবং এর জন্য ম্যানেজারকে দুয়োও দিতে শোনা যায়।
এই প্রসঙ্গে পোস্টেকোগলু বলেন, “তারা যে আমার সিদ্ধান্ত বা পরিবর্তনে খুশি নয়, তা আমি জানি।
তারা তাদের মতো প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। তবে আমরা যখন গোল করলাম, তখন আমি চেয়েছিলাম তাদের মধ্যে উত্তেজনা আসুক।”
ভিএআর প্রযুক্তি নিয়েও অসন্তুষ্ট ছিলেন পোস্টেকোগলু। তাঁর মতে, ভিএআর-এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘ক্লিয়ার অ্যান্ড অবিয়াস’ ভুলগুলো চিহ্নিত করা।
কিন্তু চেলসির বিপক্ষে ম্যাচে গোল বাতিল করতে প্রায় ৬ মিনিট সময় লেগেছিল। তিনি বলেন, “ক্লিয়ার অ্যান্ড অবিয়াস ভুলের জন্য এত সময় লাগা উচিত নয়।
খুব শীঘ্রই হয়তো রেফারি ছাড়াই খেলা হবে, যখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) রেফারিং করবে।”
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান