এভারটন ফুটবল ক্লাবের ডিফেন্ডার জেমস টারকভস্কিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সম্প্রতি একটি ম্যাচে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ফাউল করার পর তাকে নিয়ে এই সমালোচনা শুরু হয়।
শুধু তাই নয়, তার পরিবারের সদস্যদের প্রতিও এসেছে অশালীন মন্তব্য এবং হত্যার হুমকি। বিষয়টি নজরে আসার পরেই তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এভারটন ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় লিভারপুলের সাথে এভারটনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের মধ্য দিয়ে। খেলায় টারকভস্কির একটি ট্যাকল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
রেফারি তাকে হলুদ কার্ড দেখালেও পরবর্তীতে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) পর্যালোচনায় জানা যায়, সেটি আসলে লাল কার্ডের যোগ্য ছিল। এই ঘটনার পরই টারকভস্কিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য আসতে শুরু করে, যা একপর্যায়ে তার পরিবার পর্যন্ত গড়ায়।
টারকভস্কির স্ত্রী সামান্থা টারকভস্কি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে স্বামীর প্রতি আসা হুমকির কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, তাদের উদ্দেশ্যে “মৃত্যু কামনা” করে পর্যন্ত মন্তব্য করা হয়েছে।
সামান্থা আরও বলেন, একজন ফুটবলারের বাইরেও তার স্বামী একজন মানুষ, একজন বাবা এবং পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। খেলার মাঠে খেলোয়াড়েরা তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু মাঠের বাইরের এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এভারটন ক্লাব এক বিবৃতিতে জানায়, তারা টারকভস্কি এবং তার পরিবারের প্রতি হওয়া এই ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে জেমস ও তার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং প্রয়োজনে সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলবে ও পুলিশের তদন্তে সহায়তা করবে।
ক্লাবের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি কোনো প্রকার হুমকি, ভীতি প্রদর্শন বা সহিংসতার স্থান ফুটবলে নেই।
খেলাধুলায় খেলোয়াড়দের প্রতি সম্মান জানানো এবং অনলাইনে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। বর্তমানে, খেলোয়াড়দের পাশাপাশি অনেক জনপ্রিয় ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রলের শিকার হন।
এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে সকলকে সচেতন হতে হবে।
তথ্য সূত্র: The Guardian