পিক্সারের নতুন ছবি ‘এলিয়ো’ (Elio): একাকীত্ব থেকে বিশ্বজয়ের পথে
ছোট্ট এলিয়ো, ১১ বছর বয়সী এক কিশোর। মা-বাবাকে হারানোর পর সে একা হয়ে পড়ে। তার জীবনে নেমে আসে এক গভীর শূন্যতা।
বন্ধুদের অভাব, একাকিত্ব আর ভালোবাসার জন্য হাহাকার—এসবের মাঝে এলিয়ো যেন এক নতুন দিগন্তের অপেক্ষায় ছিল। একদিন, অপ্রত্যাশিতভাবে, এলিয়োর জীবনে আসে এক দারুণ পরিবর্তন।
আসলে, এলিয়োকে ভুল করে পৃথিবীর দূত হিসেবে নির্বাচন করা হয়। এরপর শুরু হয় এক কল্পনাবিলাসী যাত্রা, যেখানে সে মহাকাশের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেয়।
এই সম্মেলনে বিভিন্ন গ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীরা একত্রিত হয়, যেন জাতিসংঘের আদলে গঠিত এক মহাজাগতিক পরিষদ।
ছবিটির গল্পে এলিয়োকে দেখা যাবে এক নতুন ভুবনে, যেখানে সে এক ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। এই প্রেক্ষাপটে, এলিয়োর দুঃসাহসিক অভিযান, বন্ধু তৈরি এবং নিজের পরিচয় খুঁজে পাওয়ার গল্প দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাবে।
এলিয়োর এই যাত্রা একদিকে যেমন তার ব্যক্তিগত, তেমনি বিশ্বজনীন—যা দর্শককে নতুন কিছু দেবে।
ছবিটির নির্মাণে রয়েছে পিক্সারের (Pixar) খ্যাতি। এর আগে তারা ‘ইনসাইড আউট’-এর মতো ছবিতে মানুষের মনের জটিল জগৎকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছে। ‘এলিয়ো’ (Elio)-ও যে সেই ধারাই বজায় রাখবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ছবির দৃশ্যগুলো হবে খুবই উজ্জ্বল এবং কল্পনাবহুল।
এই ছবিতে এলিয়োর চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন এক তরুণ অভিনেতা। এছাড়াও, এলিয়োর কাকিমার চরিত্রে শোনা যাবে জো সালদানার (Zoe Saldaña) কণ্ঠ।
ছবির পরিচালক হিসেবে আছেন ম্যাডেলিন শারাফিয়ান (Madeline Sharafian) এবং ডমি শি (Domee Shi)।
প্রযুক্তিগত কিছু কারণে ছবিটির মুক্তি কয়েকবার পিছিয়ে গেলেও, নির্মাতারা জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই এটি মুক্তি পাবে।
“এলিয়ো”-র গল্প, এর নির্মাণশৈলী, এবং এর গভীরতা—সবকিছুই দর্শকদের জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে, এমনটাই আশা করা যায়।
তথ্য সূত্র: The Guardian