স্টাফ রিপোর্টার।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণভবনের দরজা সব সময় খোলা। যখনই আন্দোলনকারীরা আমাদের সঙ্গে বসতে চায়, তারা আসতে পারে। সব বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। আর এই মূহুর্তে ছাত্রদের উচিত প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় বসা। যদি তারা কালক্ষেপণ করে বসতে অনীহা জানায় তবে ধরে নেয়া উচিত আন্দোলনটি এখন আর ছাত্রদের হাতে নেই ; এটি ছিনতাই হয়ে গেছে।
শনিবার বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আহমেদ আবু জাফর সাংবাদিকদের ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপত্তার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে আহবান জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি চলমান আন্দোলন উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্র, দেশ ও জনগণের স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে যে আহবান জানিয়েছেন এর সাথে আমরাও একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমরা আশা করছি বুলেটের আঘাতে আর কোন মায়ের সন্তানের লাশ না পড়ুক, দেশের সম্পদ নষ্ট না হোক। বিগত জুলাই থেকে যথেষ্ট হয়েছে। নোংরা রাজনীতিবিদরা নিজেদের সন্তানকে বাহিরের দেশে পাঠিয়ে অন্যের সন্তানকে উস্কে দিয়ে তার লাশের উপর অপ-রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়। দেশ প্রেমিক মানুষ ও সচেতন ছাত্র সমাজের এটা বোঝা উচিত। আমাদের দেশ ও জনগণকে আমরা ধ্বংস করতে পারি না।
একই সাথে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলন মহামান্য হাইকোর্ট দ্বারা একটি মিমাংসিত ইস্যু। এই ইস্যুতে যে সকল ছাত্র, যুবক, পুলিশ, সাংবাদিক নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি।
আমরা এটাও আশা করছি যাদের অদক্ষতার কারণে দেশের বিভিন্ন মহলের মাঝে উৎকন্ঠা, অচলাবস্থা, হত্যাযজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রী সভা থেকে এসব অযোগ্যদের বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবেন এ আশা সকলের (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)।