রোমের আকর্ষণীয় ট্রাস্টেভারি অঞ্চলে, অতীতের ছোঁয়া নিয়ে এক নতুন অভিজ্ঞতা দিতে প্রস্তুত হয়েছে ডোনা ক্যামিলা সাভেলি হোটেল। সপ্তদশ শতকে নির্মিত একটি পুরনো কনভেন্ট, যা এক সময়ের নানদের আবাসস্থল ছিল, বর্তমানে সজ্জিত হয়েছে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে।
এই হোটেলটি এখন পর্যটকদের জন্য এক আকর্ষণীয় গন্তব্য।
ঐতিহাসিক এই ভবনটির নকশা করেছেন বিখ্যাত বারোক শিল্পী ফ্রান্সেসকো বরোমিনি। ইতালির এই ঐতিহ্যবাহী শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হোটেলটি তার স্থাপত্যশৈলী এবং অভ্যন্তরীন সজ্জার জন্য ইতিমধ্যেই পরিচিতি লাভ করেছে।
প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে মূল চ্যাপেলটি, যেখানে এখনো তিনজন নান নিয়মিত প্রার্থনা করেন।
হোটেলের অভ্যন্তরে রয়েছে ৯৪টি অত্যাধুনিক কক্ষ ও স্যুট। প্রতিটি কক্ষের নকশায় ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক চমৎকার মিশ্রণ ঘটানো হয়েছে।
কিছু কক্ষে পুরনো কাঠের সিলিং এবং টেরাকোটা ফ্লোর ব্যবহার করা হয়েছে, যা অতিথিদের মধ্যে প্রাচীন এক অনুভূতি তৈরি করে। অনেক কক্ষে নান্দনিক কারুকার্যখচিত দেয়াল এবং মার্বেল পাথরের টেবিল স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া, এখানকার প্রিমিয়ার স্যুটগুলোতে রয়েছে বাগান দেখার জন্য একটি ব্যক্তিগত বারান্দা এবং বিশাল গোলাপ জানালা সংলগ্ন একটি বাথটাব।
ডোনা ক্যামিলা সাভেলির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো এর রুফটপ টেরেস। এই স্থান থেকে পুরো শহরের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়, যা যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি এনে দেয়।
এখানে বসে ইতালির আকাশ আর বাতাসের সাক্ষী হওয়া এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এছাড়া, যারা রাতের আলো ঝলমলে পরিবেশে ঘুরতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য কাছেই রয়েছে পিয়াজা ট্রিলুসা।
এখানে রাতের বেলা রাস্তার সঙ্গীতশিল্পীদের আনাগোনা লেগে থাকে, যা রাতের পরিবেশকে আরও আনন্দময় করে তোলে।
হোটেলের রেস্টুরেন্টেও রয়েছে বিশেষত্ব। এখানকার ‘ইল ফেরো ই ইল ফুওকো’ নামক রেস্টুরেন্টে পরিবেশন করা হয় স্থানীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি ভূমধ্যসাগরীয় খাবার।
মনোরম পরিবেশে বসে এইসব সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নেওয়া সত্যিই অবিস্মরণীয়। গরমের দিনে অতিথিরা বাগান সংলগ্ন রেস্টুরেন্টে বসেও খাবার উপভোগ করতে পারেন।
ডোনা ক্যামিলা সাভেলি হোটেলটি শুধু থাকার জায়গা নয়, বরং এটি ইতিহাস, শিল্পকলা এবং আতিথেয়তার এক অনন্য মিলনস্থল। যারা রোমের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে চান, তাদের জন্য এই হোটেল হতে পারে একটি আদর্শ ঠিকানা।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল+লেজার