মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটির পাবলিক স্কুলগুলোতে তাদের ‘বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ (Diversity, Equity, and Inclusion বা DEI) কর্মসূচি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এই শর্ত পূরণ না করলে স্কুলগুলোর ফেডারেল অর্থায়ন বন্ধ করারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
তবে, নিউ ইয়র্ক রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা এই নির্দেশের বিরোধিতা করে তা মানতে রাজি হননি। তারা বলছেন, ফেডারেল সরকারের এমন নির্দেশ দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।
শুক্রবার ফেডারেল শিক্ষা বিভাগকে লেখা এক চিঠিতে নিউ ইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশনের কাউন্সেল ও ডেপুটি কমিশনার ড্যানিয়েল মরটন-বেন্টলি এই কথা জানান। তিনি লিখেছেন, “আমরা বুঝি যে বর্তমান প্রশাসন ‘বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকতে চাইছে।
তবে, ডিইআই নীতিগুলো নিষিদ্ধ করার মতো কোনো ফেডারেল বা রাজ্য আইন নেই।
মরটন-বেন্টলি আরও উল্লেখ করেন, শিক্ষা বিভাগ এর আগে বহুবার ফেডারেল সরকারকে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে তারা ১৯৬৪ সালের নাগরিক অধিকার আইনের ষষ্ঠ অনুচ্ছেদ মেনে চলছে। তিনি জানান, বর্তমান প্রশাসনের এই পদক্ষেপ তাদের পুরনো অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত।
এমনকি সাবেক ট্রাম্প প্রশাসনের শিক্ষাসচিব বেটসি ডিভোস ২০২০ সালে বলেছিলেন, “উচ্চ সাংগঠনিক কার্যকারিতার ভিত্তি হলো বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি।”
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ফেডারেল সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে নিউইয়র্কের কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলগুলোর প্রায় ৬ শতাংশ অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনেক স্কুল ডিইআই প্রোগ্রাম ব্যবহার করে কিছু গোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। সরকারি তহবিলের শর্ত হিসেবে স্কুলগুলোকে ফেডারেল আইন মেনে চলতে এবং ডিইআই কর্মসূচি বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
আগের ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপের সঙ্গে এই পদক্ষেপের মিল রয়েছে। এর আগে, নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে ম্যানহাটনে গাড়ি প্রবেশের ওপর উচ্চ হারে টোল বসানোর সরকারি পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছিল নিউ ইয়র্ক রাজ্য।
তথ্য সূত্র: সিএনএন