ম্যানচেস্টার ডার্বিতে হতাশাজনক ড্র, সিটি’র চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্নভঙ্গ?
রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়া বহু প্রতীক্ষিত ম্যানচেস্টার ডার্বিতে গোলশূন্য ড্র হয়েছে। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ম্যাচে, দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো আক্রমণ দেখা যায়নি, যা ফুটবলপ্রেমীদের হতাশ করেছে। খেলার ফল উভয় দলের জন্যই ছিল বেশ অপ্রত্যাশিত।
পুরোনো ‘ওল্ড ট্র্যাফোর্ড’-এ অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে, ম্যানচেস্টার সিটি এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড উভয় দলই জয়ের জন্য মরিয়া ছিল, কিন্তু ফিনিশিংয়ের দুর্বলতার কারণে কেউই গোলের দেখা পায়নি। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, খেলোয়াড়দের মধ্যে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও, গোলের সুযোগ তৈরি করতে তারা ব্যর্থ হন। বিশেষ করে, ম্যানচেস্টার সিটির আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের প্রচেষ্টা ছিল বেশ দুর্বল।
ম্যাচে উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিল, ম্যানচেস্টার সিটির গোলরক্ষক এডারসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ এবং বিতর্কিত একটি পেনাল্টির আবেদন, যা রেফারি নাকচ করে দেন। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে, ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রা কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেও, সিটির রক্ষণভাগের দৃঢ়তার কারণে তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি।
ম্যানচেস্টার সিটির ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা এই ড্রয়ের ফলে বেশ হতাশ হবেন, কারণ এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জনের দৌড়ে তাদের দুটি মূল্যবান পয়েন্ট হারাতে হয়েছে। বর্তমানে, সিটি প্রিমিয়ার লিগে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে, ইউনাইটেড তাদের ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই ম্যাচের একটি বিশেষ দিক ছিল, সম্ভবত কেভিন ডি ব্রুইনার শেষ ‘ডার্বি’ ম্যাচ খেলা। ম্যাচ শেষে, সিটি সমর্থকেরা তাদের দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ডি ব্রুইনকে অভিবাদন জানান।
ম্যাচের বাইরে, গ্ল্যাজার পরিবারের মালিকানার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ‘১৯৫৮ গ্রুপ’-এর সদস্যরা স্টেডিয়ামের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তাদের মতে, মাঠের খেলা যেমন আকর্ষণহীন ছিল, তেমনি তাদের প্রতিবাদের প্রতিও কর্তৃপক্ষের মনোযোগ ছিল কম।
সব মিলিয়ে, এই ম্যানচেস্টার ডার্বি ছিল উভয় দলের সমর্থকদের জন্য একটি হতাশার দিন। খেলায় উত্তেজনার অভাব এবং গোলের দুর্বলতা ম্যাচটিকে একঘেয়ে করে তুলেছিল। এখন দেখার বিষয়, উভয় দল তাদের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে কেমন করে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান