মরক্কোতে ইসরায়েলের গাজায় হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবাদের বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ।
ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মরক্কোর রাজপথে নেমে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের পাশাপাশি, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিরও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। রবিবার দেশটির রাজধানী রাবাতের রাজপথে অনুষ্ঠিত হওয়া এক বিশাল বিক্ষোভে, প্রতিবাদকারীরা ইসরায়েলি পতাকা পদদলিত করে এবং নিহত হামাস নেতাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার বহন করে।
গত কয়েক মাস ধরে চলা এই বিক্ষোভগুলোতে, ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলের চালানো নৃশংস হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বিক্ষোভকারীরা বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করে, কারণ তারা মনে করে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন। তাদের মতে, এটি একটি জাতিগত নির্মূল অভিযান।
বিক্ষোভকারীরা মনে করেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ তার পূর্বসূরি জো বাইডেনের নীতিরই ধারাবাহিকতা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকে মনে করেন, বাইডেন পরিস্থিতি কিছুটা গোপন করেছিলেন, কিন্তু ট্রাম্প সবকিছু প্রকাশ্যে এনেছেন। তাদের মতে, নীতিগতভাবে হয়তো তাদের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই।
এই বিক্ষোভ শুধু মরক্কোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তিউনিসিয়া, ইয়েমেন এবং মরক্কোর অর্থনৈতিক কেন্দ্র কাসাব্লাঙ্কাতেও অনুরূপ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন চায়।
তারা মনে করে, গাজা এখন কার্যত মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেয়। আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে এই সম্পর্ক স্থাপন করা হয়, যেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং সুদানও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। তবে, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মরক্কোর জনগণের মধ্যে অসন্তোষ এখনো বিদ্যমান।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা