মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগের দুই কর্মীকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা নথিবিহীন লোকজনকে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে সাহায্য করতেন।
এই ঘটনাটি ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো এলাকার ব্যস্ততম সীমান্ত ক্রসিং, সান ইয়সিড্রো পোর্টে।
অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের নাম ফার্লিস আলমন্ট এবং রিকার্ডো রড্রিগেজ। তাঁরা দুজনেই ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (CBP)-এর কর্মী হিসেবে সীমান্ত নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁরা মেক্সিকো থেকে আসা মানব পাচারকারীদের সঙ্গে যোগসাজশে, ঘুষের বিনিময়ে অনেককে সীমান্ত পার হতে সাহায্য করেছেন।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনের কথোপকথনে মানব পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও, তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনকভাবে বড় অংকের টাকা জমা হওয়ার বিষয়টিও নজরে এসেছে।
কর্তৃপক্ষের হাতে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, একটি গাড়িতে চালকসহ আরও একজন যাত্রী সীমান্ত চৌকি পার হচ্ছেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেবল চালকের প্রবেশের প্রমাণ রয়েছে।
অনুসন্ধানকারীরা বলছেন, এই দুই কর্মকর্তা প্রতি গাড়ির জন্য কয়েক হাজার ডলার করে ঘুষ নিতেন এবং এর বিনিময়ে অনেক গাড়িকে কোনো কাগজপত্র ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রম করতে সাহায্য করেছেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত আলমন্টের কাছ থেকে প্রায় ৭০ হাজার মার্কিন ডলার (তখনকার বিনিময় হার অনুযায়ী, প্রায় ৭৬ লাখ টাকার কাছাকাছি) নগদ উদ্ধার করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই অর্থ তিনি তার সঙ্গীর মাধ্যমে তিউয়ানায় পাচার করার চেষ্টা করছিলেন।
রিকার্ডো রড্রিগেজের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল নির্দোষ এবং এই মামলার প্রাথমিক পর্যায়ে আছেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি অ্যান্ড্রু হাডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “যে কোনো কাস্টমস ও সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগের কর্মচারী যদি চোরাকারবারিদের সহযোগিতা করেন, অথবা নথিবিহীন অভিবাসীদের প্রবেশ করতে সাহায্য করেন, তাহলে তাঁরা তাঁদের শপথ ভঙ্গ করেন এবং আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করেন।”
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত দুই বছরে সান দিয়েগো এলাকায় CBP-এর আরও পাঁচজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে, সীমান্ত পরিদর্শক লিওনার্ড ডার্নেল জর্জকে ঘুষ নেওয়ার দায়ে ২৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তথ্য সূত্র: সিএনএন।