যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত হোয়াইট হাউসকে নির্দেশ দিয়েছে, সংবাদ পরিবেশনের ওপর থেকে ‘দ্য এসোসিয়েটেড প্রেস’ (এপি)-এর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে প্রায় দুই মাস আগে এপি-কে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
কারণ হিসেবে জানা যায়, সংবাদ সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকা উপসাগর’ লিখতে রাজি হয়নি।
আদালতের বিচারক, ট্রাম্পের নিয়োগকৃত, ট্রেভর এন. ম্যাকফ্যাডেন মঙ্গলবার এক রায়ে জানান, সরকার যদি সংবাদ পরিবেশনের ধরনের কারণে কোনো সংবাদ সংস্থার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে, তবে তা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে দেওয়া বাক-স্বাধীনতার অধিকারের লঙ্ঘন হবে।
তিনি তার রায়ে উল্লেখ করেন, “সংবিধান কোনো সংবাদ সংস্থাকে বিশেষ সুবিধা দেয় না, তবে অন্য কোনো সংবাদ মাধ্যমের চেয়ে খারাপ ব্যবহারও করতে পারে না।
বিচারক আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার বা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না।
আদালতের এই রায় এক সপ্তাহের জন্য কার্যকর করা হবে না, যাতে সরকারের প্রতিক্রিয়া জানানোর বা আপিল করার সুযোগ থাকে।
এপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আদালতের এই সিদ্ধান্তে আনন্দিত।
তারা আরও জানায়, এই রায় সংবাদমাধ্যম এবং জনসাধারণের অবাধে কথা বলার অধিকারকে নিশ্চিত করে, যেখানে সরকারের কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ থাকবে না।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাইট ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ইনস্টিটিউটের ডেপুটি লিটিগেশন ডিরেক্টর, ক্যাটি ফ্যালো বলেন, “প্রথম সংশোধনী মানে হলো, হোয়াইট হাউস কোনো সংবাদ মাধ্যমকে প্রেসিডেন্টের খবর সংগ্রহ করতে বাধা দিতে পারে না, যদি তারা তার পছন্দের ভাষা ব্যবহার করতে রাজি না হয়।
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট, যিনি এই মামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে, আদালতের এই রায়ের কয়েক ঘণ্টা পরই এপির একজন প্রতিবেদক এবং একজন চিত্রগ্রাহককে হোয়াইট হাউসের প্রেস পুলের সঙ্গে মোটর শোভাযাত্রায় যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয়।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা