শিরোনাম: ব্রিটিশ পার্লামেন্টারের বিরুদ্ধে পারমাণবিক কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ
যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির একজন প্রভাবশালী সদস্য, লেডি অলিভিয়া ব্লুমফিল্ডের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক প্রযুক্তি কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, এই কোম্পানিটির যুক্তরাজ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ব্লুমফিল্ড তার প্রভাব খাটিয়েছেন।
বিষয়টি বর্তমানে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জানা যায়, ব্লুমফিল্ড ২০১৮ সাল থেকে কানাডার কোম্পানি ‘টেরেস্ট্রিয়াল এনার্জি’-র প্রতি সমর্থন জুগিয়ে আসছিলেন। কোম্পানিটি যুক্তরাজ্যে নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে আগ্রহী। অভিযোগ উঠেছে, ব্লুমফিল্ড কোম্পানির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এর বিনিময়ে শেয়ার অপশন লাভ করেছেন।
এছাড়াও, তিনি বিভিন্ন সময়ে এই কোম্পানির কর্মকর্তাদের সাথে মন্ত্রী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের একাধিক বৈঠক আয়োজনে সহায়তা করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ব্লুমফিল্ডের এই পদক্ষেপগুলো সংসদীয় বিধিনিষেধের লঙ্ঘন হতে পারে। কারণ, তিনি একই সাথে কোম্পানির স্বার্থ রক্ষা করেছেন এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।
বিশেষ করে, যখন তিনি বরিস জনসনের সরকারে হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তখন তার এই ধরনের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতার অভাব ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
এই অভিযোগের বিষয়ে ব্লুমফিল্ডের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, তিনি সবসময় নিয়ম মেনে কাজ করেছেন এবং তার কোনো গোপন উদ্দেশ্য ছিল না।
তবে, সমালোচকরা বলছেন, ব্লুমফিল্ডের এই ধরনের কার্যকলাপ হাউস অফ লর্ডসের (উচ্চকক্ষ) নিয়ম লঙ্ঘন করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা উচিত।
এদিকে, টেরেস্ট্রিয়াল এনার্জি কোম্পানিও তাদের একজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে অবগত। তারা জানিয়েছে, তাদের কর্মীরা যেন সব সময় সব প্রাসঙ্গিক আইন, নৈতিক নীতি, প্রবিধান ও আচরণবিধি মেনে কাজ করে, সেটি তারা নিশ্চিত করেন।
এই ঘটনাটি যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। অনেকেই মনে করেন, সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড জনগণের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করে।
এই ঘটনার জেরে ব্লুমফিল্ডের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য একটি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান