চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ৮৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে, যা বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলেছে। বুধবার এই ঘোষণা আসে।
এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, কারণ চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই বিশ্ব বাণিজ্যের প্রধান চালিকাশক্তি। এই দুই দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য বিরোধের কারণে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষ করে, উন্নয়নশীল দেশগুলো, যাদের বাণিজ্য অনেকখানি এই দুই দেশের উপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য এটি উদ্বেগের কারণ। চীনের এই শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, কারণ তাদের পণ্য এখন চীনে প্রবেশের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শুল্কের সম্মুখীন হবে।
এর ফলস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, চীনের ভোক্তাদের জন্য মার্কিন পণ্যগুলির দাম বাড়তে পারে, যা তাদের ক্রয়ক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে।
এই বাণিজ্য যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে। উদাহরণস্বরূপ, চীন যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি কমিয়ে দেয়, তবে সেই শূন্যতা পূরণ করার জন্য অন্য দেশগুলো থেকে আমদানি বাড়াতে পারে।
সেক্ষেত্রে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা চীনের বাজারে তাদের পণ্য রপ্তানির আরও সুযোগ পেতে পারে। তবে, বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি হলে তা বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।
ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া বা আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া- এমন কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে। বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে এবং বিশ্ব অর্থনীতির এই পরিবর্তনের সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে প্রস্তুতি নিতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নতুন বাজার অনুসন্ধান এবং বিদ্যমান বাজারগুলোতে প্রবেশাধিকার আরও সহজ করার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। একইসঙ্গে, দেশের ব্যবসায়ীদেরও বিকল্প বাজার খুঁজে বের করতে এবং তাদের ব্যবসার কৌশল পরিবর্তন করতে উৎসাহিত করতে হবে।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি এবং ঘটনাটি দ্রুত পরিবর্তনশীল।
তথ্য সূত্র: সিএনএন।