কর প্রদানের সময়সীমা: কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কিভাবে জরিমানা এড়ানো যায়
কর দেওয়া প্রতিটি দেশের নাগরিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। সময় মতো কর পরিশোধ না করলে নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর প্রদানের সময়সীমা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, যা আমাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিয়ে আসে। যদিও এই নিবন্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হবে, তবে করের মৌলিক ধারণাগুলি সর্বত্র একই রকম।
যুক্তরাষ্ট্রে, সাধারণত ১৫ই এপ্রিলের মধ্যে কর পরিশোধ করতে হয়। এই সময়সীমা পেরিয়ে গেলে, করদাতাদের বিভিন্ন ধরনের জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়।
এই জরিমানাগুলি এড়ানোর কিছু উপায় রয়েছে, যা আমাদের দেশের করদাতাদের জন্যেও শিক্ষণীয় হতে পারে।
দেরিতে ফাইল করলে জরিমানা:
যদি কোনো ব্যক্তি সময় মতো তাদের ট্যাক্স ফাইল করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাদের বকেয়া করের উপর প্রতি মাসে ৫% হারে জরিমানা হতে পারে। এই জরিমানার পরিমাণ বকেয়া করের ২৫% পর্যন্ত হতে পারে।
এছাড়াও, যদি ট্যাক্স ফাইল করতে ৬০ দিনের বেশি দেরি হয়, তাহলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জরিমানা দিতে হতে পারে।
দেরিতে পরিশোধ করলে জরিমানা:
যদি কোনো ব্যক্তি সময় মতো তাদের ট্যাক্স পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাদের বকেয়া অর্থের উপর প্রতি মাসে ০.৫% হারে জরিমানা করা হতে পারে। এই জরিমানার পরিমাণ বকেয়া অর্থের ২৫% পর্যন্ত হতে পারে।
সময়সীমা বাড়ানোর সুযোগ:
যুক্তরাষ্ট্রে, যদি কোনো করদাতা ১৫ই এপ্রিলের মধ্যে তাদের ট্যাক্স ফাইল করতে অপারগ হন, তবে তারা একটি নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে ৬ মাস পর্যন্ত সময়সীমা বাড়াতে পারেন।
এটি তাদের ট্যাক্স ফাইল করার জন্য অতিরিক্ত সময় দেয় এবং জরিমানা এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা:
অনেক সময় দেখা যায়, করদাতারা অতিরিক্ত কর দিয়ে ফেলেন। এমন পরিস্থিতিতে, তারা সরকারের কাছ থেকে সেই অতিরিক্ত অর্থ ফেরত পেতে পারেন।
তবে, এর জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ট্যাক্স ফাইল করা জরুরি।
স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য করের গুরুত্ব:
স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তি বা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ট্যাক্স ফাইল করা আরও গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, এটি তাদের সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা পেতে সাহায্য করে। যদি তারা সময় মতো ট্যাক্স ফাইল না করেন, তাহলে তারা সামাজিক নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ট্যাক্স ফাইলের প্রয়োজনীয়তা:
যদি কোনো ব্যক্তি ঋণ নিতে চান, তাহলে তাদের ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হতে পারে। ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলি সাধারণত তাদের ঋণ অনুমোদন করার আগে ট্যাক্স রিটার্ন দেখতে চায়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর ব্যবস্থা একটি উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা হলো। বাংলাদেশের কর ব্যবস্থার সাথে এর কিছু মিল ও অমিল রয়েছে।
আমাদের দেশেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আয়কর জমা দেওয়ার নিয়ম করে থাকে। সময় মতো আয়কর পরিশোধ না করলে জরিমানা এবং অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে।
তাই, সময় মতো আয়কর পরিশোধ করা এবং কর সংক্রান্ত নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত থাকা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য জরুরি।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই নিবন্ধে উল্লিখিত তথ্যগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর ব্যবস্থা সম্পর্কিত। বাংলাদেশের কর সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাথে যোগাযোগ করুন।
তথ্য সূত্র: CNN