লস অ্যাঞ্জেলেসে বার্নি স্যান্ডার্সের বিশাল সমাবেশ, ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের নীতির প্রতিবাদে লস অ্যাঞ্জেলেসে এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এই সমাবেশে হাজারো মানুষের সমাগম হয় এবং বক্তারা ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বার্নি স্যান্ডার্স, যিনি একজন স্বতন্ত্র সিনেটর হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও, কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজসহ আরও অনেক প্রগতিশীল নেতা এই প্রতিবাদে অংশ নেন।
বক্তারা ট্রাম্প প্রশাসনের কর নীতি, সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক সিদ্ধান্ত এবং বিজ্ঞান ও গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ কমানোর সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসের গ্লোরিয়া মোলিনা গ্র্যান্ড পার্কে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে অন্তত ৩৬ হাজার মানুষ অংশ নেয়। উল্লেখ্য, এর আগে অ্যারিজোনা এবং কলোরাডোতে অনুষ্ঠিত স্যান্ডার্সের সমাবেশেও বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম হয়েছিল।
সমাবেশে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী জোয়ান বায়েজ এবং নীল ইয়ং। বক্তৃতায় বক্তারা ধনী ব্যক্তিদের প্রভাব, সম্ভাব্য সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ হ্রাস, এবং অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ট্রাম্প প্রশাসন বিভেদ তৈরি করছে এবং সাধারণ মানুষকে তাদের সমস্যার জন্য একে অপরের ওপর দোষ চাপাতে উৎসাহিত করছে।
স্যান্ডার্স তার বক্তৃতায় বলেন, রিপাবলিকান পার্টি বর্তমানে অনেকটা ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ইচ্ছার প্রতি অনুগত একটি দলে পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ১.১ ট্রিলিয়ন ডলারের কর ছাড়ের পরিকল্পনা করছে, যা মূলত ধনী ব্যক্তিদের সুবিধা দেবে।
এই সমাবেশটি ছিল ‘ফাইটিং অলিগার্কি: হোয়্যার উই গো ফ্রম হেয়ার’ শীর্ষক এক সিরিজের অংশ। এই সিরিজের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার ফোলসোম ও বেকার্সফিল্ডে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বেকার্সফিল্ড একটি রিপাবলিকান ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত, যেখানে মেডি-ক্যালে নিবন্ধিত মানুষের সংখ্যা বেশি।
সমাবেশে আসা সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সামাজিক নিরাপত্তা ও চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন, আবার কেউ বিজ্ঞান ও গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ কমানোর সমালোচনা করেন।
তারা মনে করেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত দেশের ভবিষ্যৎকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।