যুক্তরাষ্ট্রের আদালত, ভুল করে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো এক অভিবাসীকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় বর্তমানে এল সালভাদরের একটি কারাগারে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন কীলমার অ্যাব্রেগো গার্সিয়া।
প্রায় ১৪ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাসকারী ২৯ বছর বয়সী অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে গত মাসে ভুল করে এল সালভাদরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, অভিবাসন নীতি কঠোর করার অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযানে আরও দুই শতাধিক মানুষের সঙ্গে তাকেও ফেরত পাঠানো হয়।
এর পরেই বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতের নির্দেশে ট্রাম্প প্রশাসনকে অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
তবে, তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গার্সিয়া এল সালভাদরের একটি কারাগারে ‘নিরাপদে’ আছেন এবং তিনি দেশটির কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
আদালতে বিচারক সরকারের আইনজীবীর কাছে গার্সিয়ার বর্তমান অবস্থান জানতে চান। একইসঙ্গে, তাকে ফিরিয়ে আনতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়েও জানতে চান তিনি।
বিচারক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তিনি কোথায় আছেন, আর কার হেফাজতে? আমি কোনো গোপন তথ্য জানতে চাইছি না। আমি শুধু জানতে চাই, তিনি এখানে নেই কেন? সরকার তাকে এল সালভাদরে পাঠাতে পারতো না, তাহলে এখন তাকে ফেরানোর ব্যবস্থা কেন নেওয়া হয়নি?”
আদালতে জানানো হয়, গার্সিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে মেরিল্যান্ডের স্থানীয় পুলিশের কাছে এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সদস্য হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
যদিও গার্সিয়া বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এদিকে, এই ঘটনার মধ্যেই খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, সোমবার হোয়াইট হাউসে এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে’র সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে ট্রাম্পের।
তবে, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনার ‘ব্যবস্থা’ করতে হবে, কিন্তু সরাসরি ‘ফেরত আনা’র দায়িত্ব তাদের নয়।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা