যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে শান্তি চুক্তি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রহ রয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন বিশেষ দূত। সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের এই দূত এমন মন্তব্য করেন।
তবে শান্তি চুক্তির শর্তাবলী নির্ধারণ করা সহজ নয় বলে সতর্ক করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, “আমি মনে করি, আমরা এমন এক পরিস্থিতির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি যা বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।” গত সপ্তাহে সেন্ট পিটার্সবার্গে পুতিনের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক শেষে তিনি এমনটা জানান।
তবে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দেখা দিলেও, ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা এখনই রাশিয়াকে বিশ্বাস করতে নারাজ। তারা ওয়াশিংটনকে মস্কোর ‘সময়ক্ষেপণ’ কৌশল সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
অন্যদিকে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, শান্তি চুক্তির মূল বিষয়গুলোতে রাজি হওয়া সহজ নয়। তিনি আরও যোগ করেন, ট্রাম্প প্রশাসন এই সংঘাতের ‘মূল কারণ’ বোঝার চেষ্টা করছে।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও, এখনো পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। এর মধ্যেই ইউক্রেনের সুমি শহরে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।
এদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং জো বাইডেনকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, এই তিনজনের (পুতিন, বাইডেন ও জেলেনস্কি) কারণে ‘লক্ষ লক্ষ মানুষ’ মারা গেছে।
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর ইউক্রেন উদ্বিগ্ন। কারণ, এর আগে ট্রাম্প রাশিয়া প্রসঙ্গে এমন কিছু কথা বলেছেন, যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে, পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোস্লাভ সিকোরস্কি বলেছেন, সুমি শহরে হামলার পর ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন বুঝতে পারবে যে পুতিন তাদের ‘শুভ ইচ্ছার’ উপহাস করছেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা