মহাকাশ ভ্রমণের বিলাসিতা? ব্লু অরিজিনের ফ্লাইটে বিতর্ক, গেয়েল কিংয়ের প্রতিক্রিয়া
সাম্প্রতিক সময়ে মহাকাশ ভ্রমণ নিয়ে বিতর্ক চলছে। সম্প্রতি, জেফ বেজোসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের একটি ফ্লাইটে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এই ফ্লাইটে প্রথম নারী ক্রু’সহ ছিলেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের খ্যাতিমান ব্যক্তি।
এই ঘটনার পর সমালোচকদের একহাত নিলেন খ্যাতিমান সঞ্চালক গেয়েল কিং।
ব্লু অরিজিনের এই ফ্লাইটের অন্যতম যাত্রী ছিলেন গেয়েল কিং। তিনি সিবিএস মর্নিংসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মহাকাশযাত্রা পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং এটি পৃথিবীকে আরও উন্নত করতে সহায়তা করবে।
তাঁর মতে, ব্লু অরিজিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পৃথিবীকে পরিচ্ছন্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও যোগ করেন, এই ধরনের অভিযান নারীদের এবং তরুণীদের অনুপ্রাণিত করে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে, এই ফ্লাইটের তীব্র বিরোধিতা করেছেন অনেকে। তাঁদের মতে, এই ধরনের অভিযান বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পদের অপচয়। অভিনেত্রী ও মডেল অলিভিয়া মুন এবং এমিলি রাতাজকোভস্কি সহ আরও অনেকে এই ফ্লাইটের সমালোচনা করেছেন।
তাঁদের প্রশ্ন, এই ধরনের ভ্রমণের ফলে পরিবেশের আরও ক্ষতি হবে। এই বিষয়ে তাঁদের উদ্বেগের কারণ, যেখানে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সেখানে এই ধরনের অভিযান কতটা যুক্তিযুক্ত?
ব্লু অরিজিনের এই ফ্লাইটে ছিলেন কেটি পেরি, রকেট বিজ্ঞানী আয়েশা বোয়ে, বায়োঅ্যাস্ট্রোনেটিক্স রিসার্চ সায়েন্টিস্ট আমান্ডা নিউইয়েন, সমাজসেবী লরেন সানচেজ এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক কেরিয়েন ফ্লিন।
উল্লেখ্য, ব্লু অরিজিন একটি সিট নিলামের মাধ্যমে ২৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছিল, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সমান (পরিবর্তনশীল)।
মহাকাশ ভ্রমণের এই ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়ছে। একদিকে যেমন প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনই এর পরিবেশগত প্রভাব নিয়েও আলোচনা চলছে।
এই পরিস্থিতিতে, গেয়েল কিংয়ের বক্তব্য এবং সমালোচকদের উদ্বেগের মধ্যে একটি ভারসাম্য খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।