যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের সুবিধা দাবির সংখ্যা কমেছে, যা বাজারের স্থিতিশীলতা নির্দেশ করে। যদিও বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তারপরও দেশটির শ্রমবাজার এখনও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক সরকারি তথ্যে জানা গেছে, গত সপ্তাহে নতুন করে বেকারত্বের সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন ২ লাখ ১৫ হাজার মানুষ। বিশ্লেষকদের ধারণা ছিল এই সংখ্যা ২ লাখ ২৫ হাজারের কাছাকাছি হবে।
মার্কিন শ্রম বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ১২ই এপ্রিল শেষ হওয়া সপ্তাহে বেকারত্বের সুবিধা দাবির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। সাধারণত, এই ধরনের সুবিধা দাবির সাপ্তাহিক হিসাবকে কর্মী ছাঁটাইয়ের একটি সূচক হিসেবে ধরা হয়।
গত কয়েক বছর ধরে, এই সংখ্যাটি সাধারণত ২ লাখ থেকে আড়াই লাখের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকি কিছুটা কমেছে, তবুও বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা আসার আশঙ্কা এখনও বিদ্যমান। এমন পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী শ্রমবাজার সম্ভবত টিকে থাকতে পারবে।
যদিও বেশ কিছু কোম্পানি ইতোমধ্যে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে, যেমন ওয়ার্কডে, ডাও, সিএনএন, স্টারবাকস, সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্স এবং মেটা (ফেসবুকের মূল কোম্পানি), তবুও সামগ্রিকভাবে শ্রমবাজারে চাকরির সুযোগ এখনো ভালোই আছে।
অন্যদিকে, সরকারি হিসাব অনুযায়ী, মার্চ মাসে মার্কিন নিয়োগকর্তারা ২ লাখ ২৮ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ করেছেন, যা অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক দিক। যদিও বেকারত্বের হার সামান্য বেড়ে ৪.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, তবে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এটি এখনও একটি স্বাস্থ্যকর চিত্র।
এই তথ্যগুলো ইঙ্গিত করে যে, যদিও কিছু দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার এখনো স্থিতিশীল রয়েছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, গত ৫ই এপ্রিল পর্যন্ত যারা বেকারত্বের সুবিধা পাচ্ছিলেন, তাদের সংখ্যা বেড়ে ১.৮৯ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির উত্থান-পতন বিশ্ব অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে, এবং এর ফলস্বরূপ বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পরিবর্তন আসতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থনৈতিক সূচকগুলো পর্যবেক্ষণ করা তাই জরুরি, কারণ এর প্রভাব বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনুভূত হয়, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস