মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) প্রধান জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করতে পারেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, আর পাওয়েলের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন ফেডারেল রিজার্ভের সাবেক গভর্নর কেভিন ওয়ার্শ।
খবরটি আন্তর্জাতিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের প্রধানকে সরানোর ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের আছে কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি প্রচলিত নিয়ম ভাঙতেও প্রস্তুত।
যদি তাই হয়, তাহলে পাওয়েলের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই, সম্ভবত ২০২৬ সালের মে মাসের আগেই তাকে পদ ছাড়তে হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ওয়ার্শকে পরবর্তী প্রধান হিসেবে দেখা যেতে পারে। অতীতেও ট্রাম্পের পছন্দের তালিকায় ছিলেন তিনি।
কেভিন ওয়ার্শ এর আগে জর্জ বুশের আমলে অর্থনৈতিক নীতি বিষয়ক বিশেষ সহকারী এবং ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের নির্বাহী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বর্তমানে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে কাজ করছেন।
ওয়ার্শের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মনে করেন, গত কয়েক বছরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণ হলো সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় এবং ফেডারেল রিজার্ভের বেশি অর্থ সরবরাহ করা। যদিও অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, ২০২১ সালে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির মূল কারণ ছিল কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সরবরাহ এবং চাহিদার অভাব।
ফেডারেল রিজার্ভের নীতি পরিবর্তনের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর প্রভাব পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার বৃদ্ধি বা কমার মতো পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।
কারণ এর ফলে বৈদেশিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং রেমিট্যান্সে পরিবর্তন আসতে পারে। তাই, যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিবর্তনের দিকে বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদের সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত।
যদি ট্রাম্প, ওয়ার্শকে ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন, তবে তার নীতি-কৌশল কেমন হবে, সেদিকে নজর রাখা হবে। ওয়ার্শ সাধারণত রক্ষণশীল অর্থনীতির সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তিনি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যয় কমানোর উপর জোর দিতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান পরিবর্তনের এই সম্ভাবনা বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এর প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পড়তে পারে।
তাই, এই পরিবর্তনের কারণ ও প্রভাব সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন