টেসলার বিরুদ্ধে এক কর্মীর করা একটি বর্ণবাদী হয়রানির মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেমন্ট প্ল্যান্টে কর্মরত রাইনা পিয়ার্স নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ নারী কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলাটি করা হয়েছিল।
জানা গেছে, ওই কারখানার এক ব্যবস্থাপক কর্মীদের প্রায়ই “স্বাগতম, ক্রীতদাস বাড়িতে” বা “স্বাগতম, খামারে” বলে সম্বোধন করতেন।
আদালতের নথি অনুযায়ী, টেসলা এবং পিয়ার্স একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন, যা একজন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে এই সমঝোতার শর্তাবলী এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক এই মামলার কোনো বিবাদী ছিলেন না।
পিয়ার্স তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তাকে ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এর মধ্যে ছিল বর্ণবাদী গালিগালাজ, যা কারখানার বাথরুমসহ বিভিন্ন স্থানে লেখা ছিল।
এছাড়াও, তার প্রতি লিঙ্গ-বৈষম্যমূলক আচরণ করা হতো। পিয়ার্স আরও জানান, শ্বেতাঙ্গ কর্মীদের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো উপেক্ষা করা হতো, তার জন্য প্রায়শই তাকে তিরস্কার করা হতো।
আদালতে পেশ করা অভিযোগে, পিয়ার্স আরও উল্লেখ করেন, তার প্রোডাকশন লাইনে কাজ করতে আসা অন্য এক কর্মী তাকে বলেছিলেন, “আপনাকে মানবসম্পদ বিভাগে (এইচআর) যেতে হবে, কারণ এই বিভাগের কর্মকর্তারা আপনার সম্পর্কে এমন কিছু কথা বলছেন যা ঠিক নয়।”
টেসলার ফ্রেমন্ট কারখানায় বর্ণ বৈষম্য এবং হয়রানির অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে, ২০১৯ সালে কারখানার লিফট অপারেটর ওইন ডায়েজ-এর করা একটি মামলায়, জুরিবোর্ডের রায়ের পর ৩.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিষ্পত্তি হয়।
যদিও ২০২১ সালে একই ব্যক্তি এই বিষয়ে ১৩৭ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন, তবে বিচারক কম পরিমাণ অর্থ দিতে রাজি হওয়ায় তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
এই ধরনের ঘটনা আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর কর্মপরিবেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। কর্মক্ষেত্রে সবার প্রতি সম্মানজনক আচরণ নিশ্চিত করা উচিত, যেখানে কোনো ধরনের বৈষম্যের স্থান নেই।
তথ্য সূত্র: সিএনএন