টেক্সাসের একটি স্কুল জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনলাইনে উপলব্ধ গবেষণা উপকরণ থেকে ভার্জিনিয়ার বিষয়ে তথ্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি স্কুল ডিস্ট্রিক্ট কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের কারণ হলো, রাজ্যের পতাকা এবং প্রতীক চিহ্নে এক নারীর নগ্ন স্তন দৃশ্যমান।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের লামার কনসোলিডেটেড ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্ট (Lamar Consolidated Independent School District) কর্তৃপক্ষ তাদের অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম থেকে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্য সম্পর্কিত পাঠ্যক্রম সরিয়ে দিয়েছে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সাধারণত এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হয়। মূলত, ভার্জিনিয়ার রাজ্য পতাকা ও প্রতীক চিহ্নে এক নারীর নগ্ন স্তন দৃশ্যমান হওয়ার কারণেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের মতে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে “নগ্নতার চিত্র” ব্যবহারের ওপর তাদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস (Axios)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর শেষের দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। টেক্সাস ফ্রিডম টু রিড প্রজেক্ট (Texas Freedom to Read Project) নামক একটি সংস্থা, যারা রাজ্যে বই নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে সোচ্চার, তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
তাদের মতে, লামার স্কুল জেলার এই সিদ্ধান্ত “টেক্সাসে একটি নতুন ধরনের স্বৈরাচারী, বই নিষিদ্ধকরণ ও সেন্সরশিপের সূচনা করেছে।
ভার্জিনিয়ার পতাকা নিয়ে বিতর্কের ইতিহাস বহু পুরনো। পতাকাটিতে ‘ভার্চু’ নামে পরিচিত এক রোমান দেবীর চিত্র রয়েছে, যিনি এক হাতে তরবারি এবং অন্য হাতে বর্শা ধারণ করে আছেন।
তাঁর পাশে রয়েছে ‘সিক সেম্পার টাইরানিজ’ (Sic Semper Tyrannis) – ‘স্বৈরাচারীর প্রতি এভাবেই’ শীর্ষক একটি লিপি। ১৭৭৬ সালে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই প্রতীকটি তৈরি করা হয়েছিল, যা প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
সময়ের সাথে সাথে এই চিহ্নের বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হয়েছে।
২০১০ সালে, ভার্জিনিয়ার পতাকা নিয়ে আবারও বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অনেকেই এর মধ্যে “যৌন আবেদন”-এর উপাদান খুঁজে পান।
পরবর্তীতে, অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন কুইসিনেলি (Ken Cuccinelli) একটি বিশেষ পিন তৈরি করেন, যেখানে দেবী ভার্চুর স্তন ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান