চকলেট প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ! যুক্তরাজ্যের বাজারে জনপ্রিয় ডার্ক চকোলেট টোবলরোন বন্ধ হতে চলেছে। প্রস্তুতকারক সংস্থা মন্ডেলেজ জানাচ্ছে, ক্রেতাদের রুচির পরিবর্তনের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রায় ৬০ বছর ধরে বাজারে থাকা এই ত্রিকোণ আকারের বাদাম ও মধু মিশ্রিত ডার্ক চকোলেটটি এখন থেকে আর পাওয়া যাবে না।
বদলে যাওয়া রুচি: বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের বাজারে রুচির পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। টোবলরোন বন্ধ হয়ে যাওয়া তারই একটি উদাহরণ।
প্রস্তুতকারক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্রেতাদের মধ্যে ডার্ক চকলেটের চাহিদা কমে যাওয়ায় তারা এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। তবে, টোবলরোন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভবিষ্যতে তাদের অন্যান্য পণ্যের মান উন্নয়নে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে বলেও জানিয়েছে।
চকলেট বাজারের হালচাল: শুধু টোবলরোনই নয়, এর আগেও বিভিন্ন জনপ্রিয় চকোলেট বার বাজার থেকে বিদায় নিয়েছে। মার্স ডিলাইট, ক্যাডবেরি ড্রিম-এর মতো চকোলেট বারগুলিও এক সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
এই মুহূর্তে বাজারে “দুবাই চকোলেট”-এর চাহিদা বাড়ছে, যেখানে রয়েছে পেস্তাবাদাম ক্রিম এবং টোস্টেড কান্নাফের মতো উপাদান। এছাড়াও, সুইস সংস্থা লিন্ডর সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এই “দুবাই চকোলেট”-এর আদলে তাদের নিজস্ব সংস্করণ বাজারে এনেছে, যার দাম প্রায় ১০ পাউন্ড।
অন্যদিকে, কোকোর দাম বেড়ে যাওয়ায় চকলেটের দাম বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে চকলেটের দাম ১৩.৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
শুধু দাম বৃদ্ধিই নয়, অনেক পণ্যের আকারও ছোট হয়ে আসছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, টেডকোর একটি হোয়াইট চকোলেট টুইক্স ইস্টার এগ-এর দাম গত বছরের তুলনায় বেড়েছে এবং আকারেও ছোট হয়েছে।
বিশ্ববাজারে এর প্রভাব: এই ঘটনার প্রভাব বিশ্বজুড়ে অনুভূত হতে পারে। বিশেষ করে, যারা টোবলরোন-এর ডার্ক চকোলেট ভালোবাসেন, তাদের জন্য এটি একটি দুঃখের খবর।
এছাড়া, কোকোর দাম বৃদ্ধির কারণে অন্যান্য চকোলেট পণ্যের দামও বাড়তে পারে, যা ভোক্তাদের পকেটকে আরও চাপ দিতে পারে।
বাংলাদেশে এর প্রভাব: যদিও এই ঘটনাটি যুক্তরাজ্যের, তবে বিশ্বায়নের যুগে এর প্রভাব বিভিন্ন দেশেও পড়তে পারে।
বাংলাদেশের বাজারেও চকলেটের চাহিদা বাড়ছে এবং নতুন নতুন ফ্লেভারের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। ভবিষ্যতে হয়তো, আমাদের বাজারেও খাদ্যপণ্যের রুচির পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: The Guardian