1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
April 30, 2025 2:08 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
বেয়োন্সের কনসার্টে মেয়ের আবেগে ভাসলেন টিনা: ‘এই মুহূর্তটা…’, মেগান মার্কেলের বাগানে ফুল আর ফলের উৎসব! উপালায় ত্রিমুখী হত্যাকান্ডের ঘটনায় অবশেষে… অটিজম আক্রান্ত ৮ বছরের বালক: পুকুরে গাছের সাথে! শ্বাসরুদ্ধকর উদ্ধার প্রকাশ্যে: পুলিশের নির্যাতনে টাইর নিকোলসের মৃত্যুর বিচারের নতুন মোড়! ল্যান্ডম্যানে একসঙ্গে! পুরনো বন্ধুর পুনর্মিলন, স্যাম এলিয়টের খবরে উত্তেজনা তুঙ্গে ভয়ংকর! ট্রাম্পের শুল্কে চীনের ফ্যাক্টরিতে বিরাট ক্ষতি ঘুমের শান্তির চাবিকাঠি! মাত্র $28-এ ‘বাটারি সফট’ বেডশিট, লুফে নিন! ১১ বছরের বালক, সুপার মার্কেট থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর! প্রকাশ্যে আংটি! বিল বেলিচিকের প্রেমিকা জর্ডন কি বিয়ের পথে?

রান্নাঘরে গল্প: আপন মানুষের সান্নিধ্যে মুক্তির স্বাদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Saturday, April 19, 2025,

রান্নাঘরে গল্প, হৃদয়ের কাছাকাছি: একসঙ্গে রান্না করার গুরুত্ব।

আমাদের সমাজে খাবারের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। কোনো উৎসব হোক বা সাধারণ কোনো দিন, রান্না ও খাবার ভাগাভাগি করার মধ্যে দিয়ে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে।

সম্প্রতি, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, একসঙ্গে রান্না করলে তা শুধু একটি সাধারণ কাজ থাকে না, বরং এটি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করে। একসঙ্গে রান্না করা মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে, একাকীত্ব কমায় এবং কথোপকথনের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে।

যুক্তরাজ্যের একজন মনোবিজ্ঞানী শার্লট হেস্টিংস, যিনি ‘কিচেন থেরাপি’ নামে একটি বই লিখেছেন, তিনি বলেন, “খাবার মানব সংযোগের কেন্দ্রবিন্দু। প্রজাতি হিসেবেও আমরা একসঙ্গে খাবার তৈরি ও উপভোগ করা শুরু করেছিলাম। রান্নার মাধ্যমে আমরা একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করি।”

তিনি আরও যোগ করেন যে, রান্না করার সময় মানুষ তাদের ভেতরের কথাগুলো আরও সহজে বলতে পারে, যা সরাসরি কথা বলার চেয়ে কম ভীতিজনক।

এই ধারণাকে সমর্থন করে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, ডেনভার-এর অধ্যাপক ড. মাইকেল কোসেট বলেন, “পুরুষ ও কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে গবেষণায় দেখা গেছে, গাড়িতে বসে থাকার সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে তাদের খোলামেলা আলোচনা হয়।

এর কারণ হলো, তারা সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে না। রান্নার সময়ও একই বিষয় কাজ করে। রান্নার কাজে মনোযোগ দেওয়ার কারণে এখানে ভয়ের কিছু থাকে না, বরং এটি মানসিক শান্তির কারণ হয়।”

একসঙ্গে রান্না করার এই ধারণা বর্তমানে বিভিন্ন কমিউনিটিতে জনপ্রিয় হচ্ছে। লিডসের একটি সংস্থা, ‘জেস্ট’, এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে।

তারা স্থানীয় খাদ্যপ্রেমীদের জন্য রান্নার ক্লাস আয়োজন করে এবং কর্পোরেট ইভেন্ট ও ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের জন্য তাদের রান্নাঘর ভাড়া দেয়। এই আয় থেকে তারা স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া ও ভাগাভাগি করার জন্য বিভিন্ন কমিউনিটি প্রকল্প পরিচালনা করে।

জেস্ট-এর প্রধান জো গ্র্যান্ট বলেন, “খাবার সব বাধা, ভাষা ও সংস্কৃতি অতিক্রম করে। আমরা হয়তো ভিন্ন ভাষায় কথা বলি, কিন্তু একসঙ্গে একটি খাবার তৈরি ও ভাগাভাগি করার সময় হাসি, আনন্দ এবং একটি বন্ধন তৈরি হয়।”

তিনি ‘মেন’স পাই ক্লাব’-এর কথা উল্লেখ করেন, যা পুরুষদের সামাজিক একাকীত্ব দূর করতে গঠিত হয়েছে। এখানে পুরুষরা সপ্তাহে একবার মিলিত হয়ে পাই তৈরি করেন, যা তাদের মধ্যে কথোপকথন বাড়ায় এবং বন্ধুত্বের সুযোগ তৈরি করে।

গ্র্যান্ট আরও জানান, এই ক্লাবের মাধ্যমে অনেক পুরুষ আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন এবং রান্নার বাইরেও বন্ধু তৈরি করেছেন।

অন্যদিকে, ‘ওয়েলকাম ক্যাফে’ নামে একটি প্রকল্প আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীদের জন্য রান্নার আয়োজন করে।

এখানে বিভিন্ন দেশের মানুষ একত্রিত হয়ে খাবার তৈরি করে এবং ভাগাভাগি করে, যা তাদের মধ্যে একটি শক্তিশালী কমিউনিটি তৈরি করে।

তবে, সময়ের অভাবে অনেক পরিবারে একসঙ্গে রান্না করার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। ২০১৭ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের ১৫ লক্ষ পরিবারের অভিভাবক তাদের সন্তানদের সঙ্গে কোনোদিন রান্না করেননি।

হেস্টিংস এর কারণ হিসেবে আধুনিক জীবনের দ্রুততাকে দায়ী করেন।

সবশেষে, রান্না করার মাধ্যমে আমরা শুধু একটি খাবার তৈরি করি না, বরং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করি এবং মানসিক শান্তির সন্ধান পাই।

তাই, আসুন, আমরা আমাদের পরিবারের সঙ্গে, বন্ধুদের সঙ্গে অথবা প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিলেমিশে রান্না করি, গল্প করি, আর সম্পর্কের উষ্ণতা উপভোগ করি।

তথ্য সূত্র: The Guardian

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT