যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী এক ব্যক্তির বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত জটিলতা গ্রাহক পরিষেবার দুর্বলতা এবং হিসাব-নিকাশে সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা আবারও প্রমাণ করে। সম্প্রতি, লন্ডনের বাসিন্দা ডিএফ নামের এক ব্যক্তির ব্রিটিশ গ্যাস অ্যাকাউন্টে স্কটল্যান্ডের একটি ঠিকানার বিল যুক্ত হয়ে যায়, যা তার ছিলই না।
প্রায় এক বছর আগে, ডিএফ তার ব্রিটিশ গ্যাস অ্যাপে এই নতুন ঠিকানাটি দেখতে পান। তিনি জানান, তার একমাত্র বাড়ি লন্ডনে, কিন্তু বিলে দেখানো হয়েছে গ্লাসগোর একটি ঠিকানা। বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি প্রথমে ব্রিটিশ গ্যাসের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে ফোন করেন।
সেখানে তাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হলেও, কোনো সুরাহা হয়নি। এরপর তিনি বিভিন্ন ইমেইল মারফত তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু কোনো সাড়া পাননি।
এই ঘটনার কয়েক মাস পর, ডিএফ-এর লন্ডনের বাড়িতে গ্লাসগোর ঠিকানার বিল আসতে শুরু করে। বিষয়টি তার কাছে আরও গুরুতর হয়ে ওঠে, যখন এই ভুয়া বিলের জন্য তাকে পরিশোধের নোটিশ পাঠানো হয়।
বিল পরিশোধ না করলে তার ক্রেডিট স্কোরে খারাপ প্রভাব পড়ার সম্ভবনা ছিল। ডিএফ-এর মতে, গ্রাহক পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ গ্যাসের এই চরম গাফিলতি খুবই হতাশাজনক ছিল।
অবশেষে, যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদমাধ্যম ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে ব্রিটিশ গ্যাসের সাথে যোগাযোগ করে। জানা যায়, অন্য একজন গ্রাহকের বাড়ির ঠিকানা পরিবর্তনের সময় ত্রুটিবশত ডিএফ-এর অ্যাকাউন্টে গ্লাসগোর ঠিকানাটি যুক্ত হয়ে যায়।
ব্রিটিশ গ্যাস তাদের ভুল স্বীকার করে, ডিএফ-কে ক্ষমা চায় এবং ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০০ পাউন্ড দেওয়ার ঘোষণা করে। একইসঙ্গে, তারা ডিএফ-এর অ্যাকাউন্ট থেকে ভুল ঠিকানাটি সরিয়ে দেয়।
এই ঘটনার পর ডিএফ ভালো গ্রাহক পরিষেবা প্রদানের জন্য পরিচিত একটি অন্য বিদ্যুৎ সরবরাহকারীর কাছে পরিষেবা পরিবর্তন করেন।
এই ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি, বিদ্যুৎ বিল বা অন্য যেকোনো সেবামূলক বিল নিয়মিতভাবে যাচাই করা জরুরি। কোনো ভুলত্রুটি দেখা গেলে দ্রুততার সাথে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো এবং প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এছাড়া, গ্রাহক পরিষেবা নিয়ে অসন্তুষ্ট হলে, প্রতিকারের জন্য অন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা বা সরবরাহকারীর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। আমাদের দেশেও, বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার বিলিং এবং গ্রাহক পরিষেবার মান উন্নত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: The Guardian