সামরিক জোট ন্যাটোর আকাশ সীমায় রাশিয়ার বিমানের আনাগোনা রুখতে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধবিমান প্রস্তুত ছিল। গত সপ্তাহে, যুক্তরাজ্যের রয়্যাল এয়ার ফোর্স (আরএএফ)-এর যুদ্ধবিমানগুলি দু’বার রাশিয়ান বিমানকে আটকাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এই ঘটনাগুলি বাল্টিক সাগরের কাছাকাছি ন্যাটোর আকাশ সীমায় ঘটেছিল।
প্রথম ঘটনায়, মঙ্গলবার পোল্যান্ডের মালবোরক বিমানঘাঁটি থেকে দুটি টাইফুন যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করে একটি রাশিয়ান ইল্যুশিন-২০এম ‘কুট-এ’ গোয়েন্দা বিমানকে প্রতিহত করে। এরপর, বৃহস্পতিবার একই ঘাঁটি থেকে আরও দুটি টাইফুন যুদ্ধবিমান অজানা একটি বিমানকে আটকাতে আকাশে ওড়ে, যা কালিনিনগ্রাদ আকাশসীমা ত্যাগ করার সময় ন্যাটোর কাছাকাছি চলে এসেছিল।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (এমওডি) জানিয়েছে, এই অভিযানগুলি ছিল ‘অপারেশন চেসম্যান’-এর অংশ। ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির আকাশ নিরাপত্তা রক্ষার উদ্দেশ্যে, বিশেষ করে সুইডেনের সঙ্গে মিলে যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য।
উল্লেখ্য, সুইডেন সম্প্রতি ন্যাটোর সদস্যপদ লাভ করেছে।
যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর মন্ত্রী লুক পোলার্ড বলেছেন, “রাশিয়ার আগ্রাসন বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়তে থাকায়, আমরা আমাদের মিত্রদের আশ্বস্ত করতে এবং প্রতিপক্ষকে প্রতিরোধ করতে আরও সক্রিয় হচ্ছি।
তিনি আরও যোগ করেন, “এই মিশনটি ন্যাটোর নতুন সদস্য সুইডেনের সঙ্গে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার ক্ষমতা প্রমাণ করে।
এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে, যুক্তরাজ্যের ৬টি টাইফুন যুদ্ধবিমান এবং প্রায় ২০০ জন সেনা সদস্যকে নিয়ে ১৪০তম অভিযানিক এয়ার উইং পূর্ব পোল্যান্ডে মোতায়েন করা হয়েছিল।
এর আগে, গত বছর রোমানিয়া এবং আইসল্যান্ডে ন্যাটোর বিমান সুরক্ষায় যুক্তরাজ্যের সেনারা অংশ নিয়েছিল।
প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি সম্প্রতি ব্রাসেলসে ন্যাটোর ইউক্রেন প্রতিরক্ষা যোগাযোগ গোষ্ঠীর বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে, তিনি ৫০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইউক্রেনকে ২,১০০ কোটি পাউন্ড সহায়তার প্রতিশ্রুতি আদায়ে নেতৃত্ব দেন।
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে, ৬টি টাইফুন যুদ্ধবিমান এবং ২০০ জনের বেশি সেনা সদস্যকে নিয়ে একটি দল ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত রক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল।
এর পরে, একই বছর আগস্ট মাসে, ৪টি এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান আইসল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল, যা ন্যাটোর উত্তর আকাশসীমা রক্ষার দায়িত্বে ছিল।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান