ভ্যাটিকান সিটি থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ক্যাথলিক চার্চের প্রধান, পোপ ফ্রান্সিস ৮৮ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন।
সোমবার সকালে কার্ডিনাল কেভিন ফারেল এই শোক সংবাদ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, “গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের পবিত্র পিতা ফ্রান্সিস-এর মৃত্যু হয়েছে।
তিনি প্রভুর এবং তাঁর চার্চের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।”
পোপ ফ্রান্সিস, যিনি ২০১৩ সালে প্রথম লাতিন আমেরিকান পোপ নির্বাচিত হয়েছিলেন, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসার জন্য পরিচিত ছিলেন।
তিনি সবসময় নিপীড়িত ও প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাঁদের অধিকারের জন্য সোচ্চার হয়েছেন। পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে তিনি বিশ্বজুড়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করেছেন।
পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণ এমন এক সময়ে হলো, যখন তিনি সম্প্রতি গুরুতর অসুস্থতা থেকে সেরে উঠেছিলেন।
ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে বেশ কিছুদিন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সুস্থ হয়ে তিনি ভ্যাটিকানে ফিরে আসেন এবং জনসাধারণের মাঝেও তাঁর উপস্থিতি দেখা যাচ্ছিল।
তাঁর মৃত্যু ক্যাথলিক চার্চের জন্য একটি বড় ক্ষতি, কারণ তিনি শুধু একজন ধর্মীয় নেতাই ছিলেন না, বরং বিশ্বজুড়ে শান্তির দূত হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
পোপের মৃত্যুর পর নতুন পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কার্ডিনালরা (যাজকীয় সম্মানপ্রাপ্ত ব্যক্তি) মিলিত হয়ে পরবর্তী পোপ নির্বাচন করবেন।
এই নির্বাচন ক্যাথলিক চার্চের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নতুন পোপের নির্বাচন শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি চার্চের নীতি, আদর্শ এবং বিশ্বব্যাপী এর প্রভাবের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনতে পারে।
পোপ ফ্রান্সিস তাঁর জীবদ্দশায় সবসময় সংস্কারের পক্ষে ছিলেন।
তিনি ক্যাথলিক চার্চকে আরও আধুনিক এবং সবার জন্য উন্মুক্ত করতে চেয়েছিলেন।
তাঁর প্রয়াণে শুধু ক্যাথলিক সম্প্রদায় নয়, সারা বিশ্বের মানুষ একজন মহান নেতাকে হারালো।
তাঁর আদর্শ ও কাজগুলি ভবিষ্যতের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন