মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির রিপাবলিকান পার্টি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিভিন্ন খাতে ট্রাম্প প্রশাসন কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে চায়।
প্রস্তাবিত এই কর পরিকল্পনাটি মূলত ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়ন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো টিপস, ওভারটাইম বেতন এবং গাড়ির ঋণের সুদের ওপর ফেডারেল ট্যাক্স বাতিল করা।
এই বিলটির নামকরণ করা হয়েছে “এক, বিশাল, সুন্দর বিল”, যা ট্রাম্পের একটি পছন্দের শব্দবন্ধ।
এই পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো, ঋণের সীমা বৃদ্ধি করা। প্রস্তাব অনুযায়ী, এই সীমা বাড়ানোর জন্য প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে।
কংগ্রেসের আসন্ন আগস্ট মাসের বিরতির আগেই এই ঋণসীমা বাড়ানো প্রয়োজন, অন্যথায় খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে। ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে কোনো চুক্তি ছাড়াই এই বিলের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করতে চাইছে রিপাবলিকানরা।
২০১৭ সালের ট্রাম্পের কর বিলের বেশ কিছু ধারা এই নতুন বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, শিশুদের জন্য “ম্যাগা” (MAGA) সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট খোলার একটি নতুন প্রস্তাব আনা হয়েছে।
“ম্যাগা” -র পূর্ণরূপ হলো “মানি অ্যাকাউন্ট ফর গ্রোথ অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট” (Money Account for Growth and Advancement), যা ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য করমুক্ত সঞ্চয়ের সুযোগ তৈরি করবে।
তবে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রিপাবলিকানদের মধ্যে একটি বড় সমস্যা এখনো রয়ে গেছে – তা হলো রাজ্য ও স্থানীয় করের বিষয়টি। প্রস্তাবিত বিলে রাজ্য ও স্থানীয় করের ওপর বিদ্যমান বার্ষিক ১০,০০০ ডলারের সীমা বাড়িয়ে ৩০,০০০ ডলার করার কথা বলা হয়েছে।
তবে, এই সুবিধা শুধুমাত্র বছরে ৪,০০,০০০ ডলার বা তার কম আয় করা লোকেদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং ক্যালিফোর্নিয়ার মতো উচ্চ-কর প্রদানকারী রাজ্যগুলোর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা ইতিমধ্যেই এই নীতির বিরোধিতা করেছেন। তারা ব্যক্তিগতভাবে এই সীমা ৬০,০০০ ডলার পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
চূড়ান্ত বিলে এই পরিবর্তন আনা হবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এই খবরটি আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, বিভিন্ন দেশের সরকার কিভাবে তাদের অর্থনৈতিক নীতি তৈরি করে, এটি সেই বিষয়েও ধারণা দেয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন