ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রাক্তন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, বেশ কয়েকটি দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন না হলে তাদের উপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ১৫০টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী, তবে এতগুলো দেশের সঙ্গে দ্রুত চুক্তি করা সম্ভব নাও হতে পারে।
আবু ধাবিতে এক ব্যবসায়িক গোলটেবিল বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এবং বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লটনিক দেশগুলোকে তাদের নতুন শুল্কের হার সম্পর্কে অবগত করবেন।
গত এপ্রিল মাসের ৯ তারিখে ট্রাম্প তার তথাকথিত ‘প্রতিশোধমূলক শুল্ক’ স্থগিত করেছিলেন, যা তিনি ‘মুক্ত দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ ছিল ৯০ দিন, যা ৮ই জুলাই শেষ হওয়ার কথা।
এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার সুযোগ করে দেওয়া।
তবে, এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য এবং চীনের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তির কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও, অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা এখনো চলছে। এই অবস্থায়, যারা চুক্তিতে আসতে পারবে না, তাদের জন্য উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।
বর্তমানে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা প্রায় সব পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক বিদ্যমান। তবে, ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, চুক্তিতে আসতে ব্যর্থ হওয়া দেশগুলোর জন্য এই হার আরও বেশি হতে পারে।
এমনকি, এক বছর পর আমদানি শুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর কথাও তিনি বলেছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এই ধরনের সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
অতীতেও, ট্রাম্প বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে একই ধরনের কথা বলেছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। গত এপ্রিল মাসে তিনি জানিয়েছিলেন, যারা নতুন শর্তে রাজি হবে না, তাদের জন্য শুল্ক নির্ধারণ করা হবে।
এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য বাণিজ্য নীতি এবং শুল্কের পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বিশ্ব বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের উপর এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে।
তাই, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের বাণিজ্য খাতে কী ধরনের পরিবর্তন আসে, সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন