মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান দল তাদের একটি বিশাল কর হ্রাস এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক প্রস্তাবিত বিলটিকে দ্রুত পাস করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে, বিলটি নিয়ে প্রতিনিধি পরিষদের বাজেট কমিটিতেই বিপত্তি দেখা দিয়েছে।
কতিপয় রিপাবলিকান সদস্য ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। এর মূল কারণ ছিল বিলটির কারণে ফেডারেল বাজেট ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা।
জানা গেছে, হাউস স্পিকার (মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার) মাইক জনসন দ্রুত এই অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে চাইছেন। তিনি আশা করছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বিলটি প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটির জন্য উত্থাপন করা সম্ভব হবে।
এই বিলটির মূল বিষয় হলো, ট্রাম্পের শাসনামলে, ২০১৭ সালে গৃহীত কর হ্রাসের মেয়াদ বৃদ্ধি করা। এছাড়াও, এই বিলে সীমান্তে নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে, বিলটি নিয়ে বিতর্কও রয়েছে যথেষ্ট। বিশেষ করে, মেডিকেডের (যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যখাতে সরকারি সহায়তা) সুবিধাভোগীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান বিষয়ক কিছু শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব এসেছে, যা ২০২৯ সাল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।
রিপাবলিকান দলের কতিপয় সদস্যের মতে, এই শর্তগুলো বাস্তবসম্মত নয়। তাঁরা মনে করেন, এতে সরকারের ওপর আর্থিক চাপ বাড়বে এবং শিশুদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটরা এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করছেন। তাঁদের অভিযোগ, বিলটি মূলত ধনী ব্যক্তিদের সুবিধা দেবে এবং সাধারণ মানুষের ক্ষতি করবে।
তাঁরা মনে করেন, এই ধরনের পদক্ষেপ দেশের অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে দেবে।
বিখ্যাত গবেষণা সংস্থা কমিটি ফর এ রেসপনসিবল ফেডারেল বাজেট (Committee for a Responsible Federal Budget) -এর ধারণা, এই বিলটি আগামী দশ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ প্রায় ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি করতে পারে।
বিলটি নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আলোচনা বন্ধ করুন এবং কাজটি সম্পন্ন করুন!”
বিলটি যদি প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়, তাহলে এটি সিনেটে যাবে। সেখানেও বিলটিতে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, বিলটি চূড়ান্তভাবে পাস হওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস