আলোচিত মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক এবং প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সম্প্রতি শুরু হওয়া বাদানুবাদ এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। মাত্র ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে, যা আগে বন্ধুত্বের পর্যায়ে ছিল।
জানা গেছে, এই বিতর্কের মূল কারণ ছিল ট্রাম্পের কর এবং অভ্যন্তরীণ নীতি বিষয়ক একটি বিল, যা নিয়ে মাস্ক তীব্র সমালোচনা করেন। মাস্কের এই মন্তব্যের পরেই তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক নতুন মোড় নেয়। রিপাবলিকান দলের নেতাদেরও বিষয়টি বেশ অবাক করেছে।
মঙ্গলবার মাস্ক এই বিলটিকে ‘ঘৃণ্য’ বলে মন্তব্য করেন। এর পরেই বৃহস্পতিবার তিনি ট্রাম্প ও অন্যান্য রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের পুরনো কিছু মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন, যেখানে সরকারি ব্যয় এবং ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর তাদের মধ্যেকার বিরোধ আরও বাড়ে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকালে ট্রাম্প এবং মাস্কের ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে এই নিয়ে আলোচনা হয়। এমনকি, ট্রাম্প মাস্কের কোম্পানির সঙ্গে সরকারের চুক্তি বাতিলেরও ইঙ্গিত দেন।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই বিরোধ তাদের মধ্যেকার সম্পর্কের অবনতির একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত। মাস্ক একসময় ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এবং হোয়াইট হাউসে তার নিয়মিত আনাগোনা ছিল। গত সপ্তাহে সরকারি দায়িত্ব থেকে বিদায় নেওয়ার সময় মাস্ক বলেছিলেন, তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের ‘বন্ধু ও উপদেষ্টা’ হিসেবে সবসময় থাকবেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনার মাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যেকার মতপার্থক্যের বিষয়টি আরও একবার সামনে এসেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় একটি নীতিগত বিষয়ে দ্বিমতের কারণে, যা পরবর্তীতে প্রকাশ্যে আসে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন