আহমেদাবাদ, ভারত – ভয়াবহ এক বিমান দুর্ঘটনায় ভারতের গুজরাট রাজ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গত বৃহস্পতিবার, ১২ই জুন, ২০২৫, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭ বিমান আহমেদাবাদ শহরের কাছাকাছি বিধ্বস্ত হয়।
বিমানটি টেকঅফের কিছুক্ষণ পরেই একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আঘাত হানে, যার ফলে ঘটনাস্থলেই ২৩৭ জন নিহত হন।
নিহতদের মধ্যে বিমানের যাত্রী ও ক্রু সদস্য ছাড়াও ছাত্রাবাসের কয়েকজন শিক্ষার্থীও রয়েছেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দুর্ঘটনার পর পরই উদ্ধারকর্মীরা ছুটে যান এবং আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা বিমানের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে আটকে পড়া আহতদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালান।
তাদের চোখেমুখে ছিল স্বজন হারানোর বেদনা আর আহতদের বাঁচানোর আকুলতা।
এই ঘটনায় আহত হওয়া একজন যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাসপাতালে গিয়ে আহত ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো এই তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (NTSB), ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA), বোয়িং এবং জেনারেল ইলেকট্রিকের প্রতিনিধিরাও এই তদন্তে অংশ নিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারের চেষ্টা করছেন, যা দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে।
এদিকে, নিহতদের মরদেহ শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, বিমানের ধ্বংসস্তূপের ভেতর আরও মরদেহ পাওয়া যেতে পারে।
নিহতদের পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।
স্বজন হারানোর শোক বুকে নিয়ে তাঁরা প্রিয়জনদের মরদেহ হস্তান্তরের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন।
আহমেদাবাদের এই বিমান দুর্ঘটনা ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ একটি ঘটনা।
বোয়িং ৭৪৭ বিমানের নিরাপত্তা ত্রুটি নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, এবং এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নিরাপত্তা বিষয়ক খুঁটিনাটি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমান দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণ করতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস