ইরানে ইসরায়েলের হামলার জেরে বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় উল্লম্ফন, যা বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। শুক্রবার এশিয়ার শেয়ারবাজারেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার সকালে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। ইউএস বেঞ্চমার্ক ক্রুড অয়েল ব্যারেল প্রতি প্রায় ৬ ডলার বেড়ে ৭১.৯৭ ডলারে পৌঁছেছে।
অপর দিকে, ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দামও প্রায় ৪ ডলার বেড়ে ৭৩.১৮ ডলারে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে, এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলোতেও দরপতন দেখা যায়।
টোকিওর নিক্কেই ২২৫ সূচক ০.৯ শতাংশ, সিউলের কোস্পি সূচক ০.৯ শতাংশ, হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক ০.৯ শতাংশ এবং সাংহাই কম্পোজিট ইনডেক্স ০.৭ শতাংশ কমেছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ইসরায়েল-ইরান সংঘাত দীর্ঘায়িত হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা আরও বাড়বে। এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও।
বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত আমদানি নির্ভর। তেলের দাম বাড়লে আমদানি খরচ বাড়বে, যা দেশের বাজারে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়াতে পারে।
এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্সের (remittance) উপরও এর প্রভাব পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অবশ্য বৃহস্পতিবার কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েলের হামলার পর সেই সম্ভাবনা অনেকটা ম্লান হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও এই পরিস্থিতি প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়বে। পরিবহন খরচ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম—সবকিছুতেই এর প্রভাব পড়তে পারে।
তাই, সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে, বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশের নীতি নির্ধারণেও পরিবর্তন আনা দরকার হতে পারে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস