1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 14, 2025 7:00 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
কেনার হিড়িক! আকর্ষণীয় অফারে আরামদায়ক স্নিকার, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকুন! লন্ডনের নতুন রেস্তোরাঁ: প্রিন্স আর্থারে খাবারের স্বর্গ! প্রথম আলু তোলার আনন্দে আত্মহারা কৃষক! কীভাবে ফলাবেন? যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাফল্যে প্রশংসিত: জোনাথন পাওয়েল গাছের সঠিক স্থান: কোন জানালায় বাঁচবে আপনার প্রিয় গাছ? সিরিয়ায় ক্ষমতার পালাবদলে ইসরায়েলের কৌশল, ফায়দা লুটছে? মানচিত্র বিভ্রাট: এয়ার কানাডার ফ্লাইটে ইসরায়েল মুছে ফেলায় তীব্র প্রতিক্রিয়া! ফর্মুলা ১: আফ্রিকার মাটিতে ফেরার স্বপ্নে বিভোর দক্ষিণ আফ্রিকা! সুপার বোল না জেতার হতাশায়: ডেমার্কাস লরেন্সের মন্তব্যে পার্সনসের ‘ক্ষোভ’! স্পোর্টস কুইজে বাজিমাত: আপনার স্কোর কত?

ম্যাক্রনের পরমাণু আলোচনা: ফ্রান্সের কৌশল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Tuesday, March 4, 2025,

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের জেরে এই প্রস্তাবের গুরুত্ব বেড়েছে, যেখানে তিনি আটলান্টিক জোট এবং ইউক্রেনের সুরক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

ম্যাক্রোঁর এই প্রস্তাব এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ইউরোপ নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে।

পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা (Nuclear Deterrence) হলো এমন একটি কৌশল, যা পারমাণবিক অস্ত্রের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে অন্য কোনো দেশের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ, বিশেষ করে পারমাণবিক হামলা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে।

শীতল যুদ্ধের সময়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ছত্রছায়া মিত্র দেশগুলোকে, বিশেষ করে ন্যাটো সদস্যদের, সম্ভাব্য হুমকি থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।

এর ফলে অনেক দেশ নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা থেকে বিরত থেকেছে।

ফ্রান্স হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ।

যুক্তরাজ্য, যদিও এখন আর ইইউ’র সদস্য নয়, তবে তারা ন্যাটোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং তাদেরও পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।

জার্মানির নির্বাচনে বিজয়ী ফ্রিডরিখ মের্জ সম্প্রতি ফ্রান্সের সঙ্গে “পারমাণবিক ভাগাভাগি” নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।

আগামী বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একটি বিশেষ সম্মেলনে ইইউ নেতারা ইউক্রেনকে সমর্থন এবং ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করবেন।

ফ্রান্সের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা মূলত আত্মরক্ষামূলক উদ্দেশ্যে তৈরি।

এর লক্ষ্য হলো দেশের “গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ” রক্ষা করা।

যদিও ফ্রান্স ন্যাটোর সদস্য, তবুও তারা জোটের বৃহত্তর প্রতিরোধ কৌশলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে স্বাধীনভাবে তাদের পারমাণবিক শক্তি বজায় রাখে।

২০২০ সালের এক ভাষণে ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন যে ফ্রান্সের “গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ”-এর একটি “ইউরোপীয় মাত্রা” রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্রান্সের এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো, এমন ক্ষমতা তৈরি করা যা প্রতিপক্ষকে “অগ্রহণযোগ্য প্রতিক্রিয়া” জানাতে বাধ্য করবে।

ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টস (FAS) এর হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার কাছে বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের প্রায় ৮৮ শতাংশ মজুত আছে।

এরপরেই চীন এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স, যাদের আনুমানিক ২৯০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের আছে প্রায় ২২৫টি।

তবে ম্যাক্রোঁর এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন কট্টর-ডানপন্থী নেতা মারিন লে পেন।

তিনি মনে করেন, “পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাগাভাগি করা হলে, তা বিলুপ্ত হওয়ার সমান।”

ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকোর্নু অবশ্য বলেছেন, ফ্রান্সের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের এখতিয়ারেই থাকবে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT