ডমিনিকান রিপাবলিকে ছুটি কাটাতে যাওয়া এক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নিখোঁজ ছাত্রীর নাম সুদীক্ষা কোনানকি, বয়স ২০ বছর।
তিনি ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গ-এর শিক্ষার্থী ছিলেন।
গত ৬ মার্চ দেশটির রিও রিপাব্লিকা হোটেলের সমুদ্র সৈকত থেকে তিনি হঠাৎ করেই নিঁখোজ হন।
এই ঘটনার পর থেকেই ডমিনিকান কর্তৃপক্ষ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের প্রশাসন সুদীক্ষার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
জানা গেছে, ঘটনার দিন সুদীক্ষার সঙ্গে ছিলেন জোশুয়া স্টিভেন রিবে নামের এক ব্যক্তি।
তিনিই ছিলেন সুদীক্ষার সঙ্গে শেষ ব্যক্তি।
জোশুয়া দেশটির কৌঁসুলিদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, সৈকতে থাকাকালীন একটি বড় ঢেউ তাদের দু’জনকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
জোশুয়া সাঁতার কাটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন, কিন্তু সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করা সহজ ছিল না।
তিনি কোনোরকমে সুদীক্ষাকে উদ্ধার করেন।
কৌঁসুলিদের সাথে চতুর্থ দফা জবানবন্দিতে জোশুয়া জানান, ঢেউয়ের ধাক্কায় তারা দু’জনেই পানির নিচে চলে যান।
তিনি সুদীক্ষাকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন।
“আমি তাকে শ্বাস নিতে সাহায্য করার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু আমি নিজেও অনেক পানি খেয়ে ফেলেছিলাম। কয়েকবার জ্ঞান হারানোর উপক্রম হয়েছিল। কোনোমতে যখন তীরে ফিরলাম, তখনো সুদীক্ষাকে আমার সামনে ধরে রেখেছিলাম,”
জোশুয়ার ভাষ্যমতে, এরপর সুদীক্ষাকে হাঁটু পর্যন্ত পানিতে হেঁটে যেতে দেখেন তিনি।
“আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম সে ঠিক আছে কিনা। কিন্তু সে কোনো উত্তর দেয়নি, কারণ ততক্ষণে আমার প্রচুর সমুদ্রের জল বমি হয়ে আসছিল। বমি করার পর আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখি, সেখানে আর কেউ নেই। আমি ভেবেছিলাম, সে হয়তো জিনিসপত্র নিয়ে চলে গেছে।”
জোশুয়া আরও জানান, তিনি খুব ক্লান্ত ও অসুস্থ বোধ করছিলেন, তাই একটি সমুদ্র-চেয়ারে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
এদিকে, জোশুয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে গোপনীয়তা রক্ষার আবেদন জানানো হয়েছে।
তারা এই কঠিন সময়ে দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
বর্তমানে, সুদীক্ষার সন্ধানে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।
এই ঘটনার তদন্ত এখনো চলমান।
তথ্য সূত্র: CNN