মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ: পালটা শুল্ক বসানোর ঘোষণা মেক্সিকোর
যুক্তরাষ্ট্র সরকার মেক্সিকোর থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে চলেছে মেক্সিকো। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাম মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
প্রেসিডেন্ট শেইনবাম জানিয়েছেন, মেক্সিকো সরকার কোন কোন পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করবে, তা আগামী রবিবার মেক্সিকো সিটির কেন্দ্রে এক জনসমাবেশে ঘোষণা করা হবে। বাণিজ্য যুদ্ধের তীব্রতা কমাতে এখনো যে মেক্সিকো আলোচনা চাইছে, এই ঘোষণার মধ্যে সেই ইঙ্গিতও থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট বলেন, “এই ধরনের সিদ্ধান্তের কোনো কারণ বা যৌক্তিকতা নেই, যা আমাদের দেশের মানুষ এবং অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলবে।” তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অপ্রত্যাশিত।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে মেক্সিকোর মাদক পাচারকারীরা এখনো সক্রিয়, যার কারণে সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে শেইনবাম এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং অপমানজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, তাঁর সরকার মাদক পাচার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এরই মধ্যে ১ টনের বেশি ফেন্টানিল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, মেথামফেটামিন তৈরির ৩২৯টি ল্যাব ধ্বংস করা হয়েছে। মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২৯ জন ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
কানাডা সরকারও যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বেশি আমেরিকান পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
এই বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশের বাজারেও বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যদিও সরাসরি প্রভাব এখনো দৃশ্যমান নয়, তবে বিশ্ব অর্থনীতির এই ধরনের অস্থিরতা বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস