যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোর মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ: ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ বাড়ছে
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া শুল্কের সিদ্ধান্তের জেরে কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এই শুল্কের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা, বাড়ছে উৎপাদন খরচ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (তারিখ উল্লেখ করা হয়নি) থেকে কার্যকর হওয়া এই শুল্কের কারণে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ এবং চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যদিও কানাডার জ্বালানি তেলের ওপর এই শুল্ক কিছুটা কম, ১০ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায়, এই দেশগুলোও পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের এক কৃষক সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি অ্যাভোকাডো প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ বার্নার্ড জানিয়েছেন, শুল্ক বহাল থাকলে তাদের পণ্যের দাম বাড়াতে হতে পারে। এছাড়া, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় রেস্টুরেন্ট মালিকদের ব্যবসা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, শুল্কের এই ধারা অব্যাহত থাকলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাবে এবং মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। এছাড়া, বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগ করতে দ্বিধা বোধ করছেন, যা সামগ্রিক অর্থনীতিতে খারাপ প্রভাব ফেলবে।
কানাডার উইন্ডসরের একটি উপহার সামগ্রীর দোকানে আসা কয়েকজন আমেরিকান নাগরিক ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই বাণিজ্য যুদ্ধ তারা সমর্থন করেন না।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি বিশ্ব বাণিজ্যকে আরও জটিল করে তুলবে। বিশেষ করে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য শুল্কনীতি এবং বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন করে সাজানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস