বিখ্যাত অভিনেতা জিন হ্যাকম্যান এবং তাঁর স্ত্রী বেটসি আরাকাওয়ার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নব্বইয়ের কোঠায় পৌঁছে যাওয়া হ্যাকম্যান দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ ও আলঝেইমার্স-এর মতো জটিলতায় ভুগছিলেন।
নিউ মেক্সিকোর সান্তা ফে শহরে তাঁদের বাসভবনে তাঁদের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৬৫ বছর বয়সী বেটসি আরাকাওয়া সম্ভবত হান্তাভাইরাস নামক বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহ আগেই মারা যান।
এরপর সম্ভবত আলঝেইমার্সে আক্রান্ত হ্যাকম্যান তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।
চিকিৎসকদের মতে, হ্যাকম্যানের শরীরে আলঝেইমার্সের উপসর্গ তীব্র আকার ধারণ করেছিল।
তাঁর হৃদরোগও গুরুতর ছিল।
সম্ভবত এই দুটি কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
হান্তাভাইরাস ইঁদুরের মাধ্যমে ছড়ানো একটি বিরল রোগ, যা ফুসফুসের মারাত্মক সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
এই দম্পতির জীবনযাত্রা ছিল খুবই নিভৃত।
তাঁরা বাইরের জগৎ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছিলেন।
সান্তা ফে-র একটি গেটেড কমিউনিটিতে তাঁরা থাকতেন।
মৃত্যুর কয়েক দিন পর তাঁদের মরদেহ পাওয়া যায়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হ্যাকম্যানের পেটে কোনো খাবার পাওয়া যায়নি, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হয়তো বেশ কয়েক দিন কিছু খাননি।
জিন হ্যাকম্যান দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র জগতে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তিনি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন।
অভিনয়ের বাইরে তিনি সাধারণত লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতেন।
তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁদের এই আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
বেটসি আরাকাওয়া ছিলেন একজন ক্লাসিক্যাল পিয়ানোবাদক।
আশির দশকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি জিমে তাঁদের পরিচয় হয়।
এরপর তাঁরা সান্তা ফে-তে বসবাস শুরু করেন।
তথ্যসূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস