মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল সরকারে অর্থ কাটছাঁটের কারণে দেশটির ন্যাশনাল ফায়ার একাডেমিতে (NFA) প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (FEMA) কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবরটি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস।
যুক্তরাষ্ট্রের ফায়ার সার্ভিস এবং জরুরি বিভাগের কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য বিখ্যাত এই ন্যাশনাল ফায়ার একাডেমি। ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত এই একাডেমিতে সারা দেশ থেকে আসা অগ্নিনির্বাপক কর্মী, ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিস (EMS) প্রদানকারী এবং অন্যান্য প্রথম সারির কর্মীরা বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে তহবিল হ্রাস করার ফলে একাডেমির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ন্যাশনাল ফায়ার একাডেমির প্রশিক্ষণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এই ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে জরুরি পরিস্থিতিতে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
প্রাক্তন ফায়ার চিফ মার্ক বাশুয়ার বলেছেন, “ন্যাশনাল ফায়ার একাডেমি ফায়ার সার্ভিসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের সেরা ফায়ার সার্ভিস ব্যবস্থা বজায় রাখতে এর বিকল্প নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী সপ্তাহে একাডেমিতে নতুন প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন তা বাতিল করা হয়েছে। এতে অনেক প্রশিক্ষণার্থীর ভ্রমণ ও থাকার ব্যবস্থা বাতিল করতে হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক।”
আফ্রিকার দেশগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় জরুরি বিভাগের কর্মীদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি। ন্যাশনাল ফায়ার একাডেমির প্রশিক্ষণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার ভয়াবহ দাবানলের ঘটনার পরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প FEMA-কে সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করার কথা বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া, ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের কর্মীদের ছাঁটাই করার কারণেও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ন্যাশনাল ফায়ার একাডেমির মতো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে গেলে ভবিষ্যতে দুর্যোগ মোকাবিলায় সমস্যা হতে পারে। কারণ, দুর্যোগের সময় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষিত জনবল অপরিহার্য।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।