ভারতে এক ইসরায়েলি নারী ও স্থানীয় এক মহিলার ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কর্ণাটক রাজ্যের কোপ্পালে সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুই নারী কয়েকজন পুরুষের সঙ্গে মিলে তারা তারা তারা একটি স্থানে আকাশ দেখছিলেন।
সেই সময় কয়েকজন লোক এসে তাদের কাছে টাকা চায়।
তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে হামলাকারীরা পুরুষ সঙ্গীদের একটি খালে ফেলে দেয়।
এদের মধ্যে একজন ডুবে মারা যান।
অন্য দু’জন সাঁতরে কোনোমতে নিজেদের জীবন বাঁচান।
এরপর হামলাকারীরা দুই নারীর ওপর যৌন নির্যাতন চালায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, কোপ্পাল শহরটি ব্যাঙ্গালোর থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে এবং শনিবার দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে খুন, গণধর্ষণ ও ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভারতে নারীর প্রতি সহিংসতা একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটিতে ৩১,৫১৬টি ধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা ২০২১ সালের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।
অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা সামাজিক লজ্জার কারণে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে চান না।
ফলে প্রকৃত সংখ্যাটি আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
২০১২ সালে দিল্লিতে একটি চলন্ত বাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এর জেরে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ হয় এবং সরকার দ্রুত বিচার আদালত স্থাপন করতে বাধ্য হয়।
ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনও সংশোধন করা হয়, যেখানে ধর্ষণের সংজ্ঞা আরও স্পষ্ট করা হয়েছে এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
২০১৩ সালে, সরকার ভিকটিমদের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করে এবং নাবালিকাদের ধর্ষণের ক্ষেত্রে শাস্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে।
২০১৮ সালে, ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ধর্ষণ করলে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়।
বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে হওয়া এ ধরনের ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
গত বছর, এক স্প্যানিশ পর্যটক অভিযোগ করেন যে, তার স্ত্রীকে উত্তর ভারতে ধর্ষণ করা হয়েছে।
এছাড়া, এক ভারতীয়-মার্কিন নারী দিল্লির একটি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন।
তথ্যসূত্র: