যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে আবারও বড় ধরনের দরপতন দেখা দিয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডার ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণার পরই এই দরপতন হয়।
মঙ্গলবার সকালে, ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক ৫৪০ পয়েন্ট বা ১.৩ শতাংশ কমে যায়।
এছাড়া, এসএন্ডপি ৫০০ সূচক ১.১ শতাংশ এবং নাসডাক কম্পোজিট সূচক ০.৮ শতাংশ হ্রাস পায়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার এক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টে জানান, তিনি কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা বিদ্যুতের উপর ২৫ শতাংশ এবং ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।
বিশ্লেষকদের মতে, বাণিজ্য নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন আগ্রাসী মনোভাবের কারণেই বাজারের এই অস্থিরতা।
আগের দিন, সোমবারও বাজারের পরিস্থিতি ভালো ছিল না।
ওইদিন ডাউ জোন্স সূচক ৮৯০ পয়েন্ট এবং এসএন্ডপি ৫০০ সূচক ২.৭ শতাংশ কমেছিল।
ফেব্রুয়ারিতে সূচক তার সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত এসএন্ডপি ৫০০ সূচক ৮.৬ শতাংশ নিচে নেমে এসেছে, যা সংশোধনীর কাছাকাছি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারের এই দরপতনের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
অন্যদিকে যেমন বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দা আসার আশঙ্কাও বাড়ছে।
সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও মন্দা আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভীতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সিএনএন-এর ‘ফেয়ার অ্যান্ড গ্রিড ইনডেক্স’-এর তথ্য অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহ ধরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে, যার মূল কারণ হলো ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতির উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
যদিও বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর এর সরাসরি প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়, তবে আন্তর্জাতিক বাজারের এই অস্থিরতা আমাদের রপ্তানি, বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে কিছু প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকতে হবে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখতে হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন